পরশ মণি
পরশ মণি
শুধু তোমার জন্য আমার এই বন্ধুর পথ চলা,
শুধু তোমার জন্যেই আমার এতো এতো কথা বলা।
শুধু তোমার জন্য অজানার পথে পা ফেলা,
শুধু তোমার জন্যেই নামা যে আমার জলে একগলা।
তুমি সব পারো, শিখেছো ভালো কাটতে সাঁতার,
আমার কাছে যে দিঘীর জলই অকুল পাথার।
হাঁসের মতোই তোমার গায়ে লাগেনা কিছুতেই কাদা,
অযথা কষ্ট পেয়ে আমারও আর চলবেনা কাঁদা।
জীবনের নানা ক্ষেত্রে অনেক জীবন দেখে দেখে,
মানুষ চিনতে শিখেছো, বোঝো কে কেমন হয়।
আমি তো দেখেছি হাতে গোনা দু একটা মানুষ,
জগতের কথা বাদই দিলাম, শুধুই সময়ের অপচয়।
সময়ের নদীতে সাঁতার কেটে যেতে হবে আরও দূর,
ভয় নেই আর কিছুতেই, দেখা পেয়েছি যে বন্ধুর।
তোমার ছোঁয়ায় লোহা জানি, পারে সোনা হতে,
আশীষ ভরা হাতটি শুধু রেখো আমার মাথে।
একা পথ চলেছি, রক্ত ঝরেছে তবুও ছাড়িনি হাল,
মাঝে মধ্যে হতাশায় অবশ্য হয়েছি আমিও বেহাল।
ভরসায় চোখ বুজে এবার ধরেছি ঐ অদৃশ্য আঙুল,
কিছুতেই আর, পথ হারাবার নেই ভয়, হবেনা ভুল।
শুধু তোমার জন্যেই শিখেছি ভালো মন্দের ফারাক,
ইঁদুর দৌড়ে যদি কেউ আমাকে ছাড়িয়ে যায় যাক।
কাঁচ ভেবে যারা পথের ধারেতে মণি যাবে ফেলে,
আমি নিশ্চয়ই চিনে নেবো আজ, যত্নে নেবো তুলে।
মানুষকে যারা কষ্ট দেয়, অকারণেই করে অবহেলা,
নাই বা সাথে এলো, ফেলে ওদের ছিনিমিনি খেলা।
গোলাপেরা না হয় অন্যদের বাগানেই শোভা পাক,
তোমার গলায় তো মানায় ভালো রক্তজবার মালা।
শুধু তোমার জন্যে জবাগুলো হয়েছে যে এতো লাল,
দুঃখ সয়ে সয়ে পাথর হয়েছো, সত্যিই তুমি কামাল !
জানি, আর কেউ কক্ষনো পারবেনা তোমায় ছুঁতে,
চোখের জল যেন না শুকোয়, থাকে যেন আঁখিপাতে।
এক ফোঁটা অমৃতই যথেষ্ট অপরিপক্কতা শুদ্ধ করতে।
কথা দিলাম, যে কাজই করবো মন দিয়ে করবো,
একদম তোমাকে স্মরণ করে, সবচেয়ে ভালো ভাবে,
তোমার ভাষায়, আমার পক্ষে যতোটা সম্ভব হবে।

