প্রিয়তমার আসার অপেক্ষায়
প্রিয়তমার আসার অপেক্ষায়
প্রিয়তমার প্রেমোচ্ছাসেৱ প্রদীপ
ছিল অন্তর আলোকিত করে
বিহ্বলতা যায় দূরে সরে
প্রদীপের শিখার সরগরমে
দুর্দশার তুফান ধেয়ে আসে
বারেবারে শিখাটি নিভিয়ে দিতে
অন্তরকে বিষাদের করাল মেঘে আচ্ছন্ন করে
শ্মশানের শূন্যতায় ভরিয়ে দিতে চায়
মর্মরতার বীণা বাজিয়ে
প্রদীপটা বারেবারে নিভে যেতে নেয়
ভালোবাসার পাঁজরে আগলে রেখেছিনু
রাতের রজনীগন্ধার স্নিগ্ধতায়
দিবসে মহাসাগরের তলদেশে ঝিনুকের অভ্যন্তরে
অদৃষ্টের শাপে ললাটের লিখনে
শিখাটি গেলো অকালে নিভে
জ্বলন্ত প্রেমের শিখা হলো সাথী অমাবস্যার
অজানা পথে পাড়ি দেবে বলে
যে ছিল জীবন-রথের সহচারিনী
গেলো সে ছেড়ে একাকিনী
দূরে অনেক দূরে নাম নাজানা
কোনো এক দেশে নীল গগনে মিশে
বসে আছি ডাকে যদি হাতছানি দিয়ে
কিংবা ফিরে আসছি বলে আবার ছুটে আসে
আবেগের মসৃণতাটা আস্তে আস্তে রুক্ষ হয়ে যায়
কল্পনার সাগরে যেন চড়া পড়েছে
সূর্য্যের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত দিন-রাতের সীমাটা
বোধহয় সীমিত ও ঝাপসা হয়ে গেছে
ভাবতে ভাবতে জীবন-সলতেটা
ক্ষীণ হয়ে এসেছে
তবুও ভাসমান পৃথিবীতে সওয়ারী হয়ে
কল্পনা সাগরে ভাসা ভাসা স্মৃতিগুলোকে
সঞ্চয় করে রাখে মনের মণিকোঠায়
টুকরো টুকরো প্রেমোচ্ছাসের মুহূর্তগুলোকে
আবেগের স্বর্ণ-তুলিকায় আঁকতে চায়
বিরহ সাগরের সৈকতে দাঁড়িয়ে
উদগ্র হয়ে তাকায় গগনের পানে
যেখানে তারারা জ্বলে রাতের বেলায়
দিনে বিশ্রাম নেয়
তেমনি ভাবে প্রিয়তমার জীবন সলতেটা
আরো একবার প্রজ্জলিত হয়ে উঠুক
অলয়ের অরূপ ছোঁয়ায়
উর্বশী জোৎস্নাকে বলবো
লজ্জায় মেঘের আড়ালে না লুকিয়ে
দাঁড়ায় অনুক্ষণ ধরে
মোর প্রিয়তমার আসার অপেক্ষায়