আজি এ সময় এসেছে আবার
আজি এ সময় এসেছে আবার


আজি এ সময় এসেছে আবার
বাজায়ে ডমরু গগনভেদী
নাচে মহাকাল গভীর নিনাদে
জটা দুলাইয়া মেদিনী কঁপাইয়া
বিধির বিধান ভাঙিয়া ফেলিতে
অট্টহাস্যে প্রলয় নৃত্যে
করিতে বিশ্ব ধ্বংস
কোটি গ্রহ-তারা ছুটিয়া মরিছে
হয়ে ভীত সন্ত্রস্ত
মহাকালের এই রুদ্র-প্রতাপে
গিরিশৃঙ্গ হইবে চূর্ণ
ম্রিয়মান রবি করিছে আকুতি
মেদিনীর হবে অস্ত
আছে যত সব নির্দয় পাপাচারী
ধর্মের নামে করে খুনোখুনি
অরাজগতার গায় আগমনী
হইবে আজিকে অকালবোধন
নটরাজ আসি ধরিবে অসি দিবে হুঙ্কার প্রলয় নাচনে
করিতে সবার অন্ত
একদা আভাস দিয়াছিল ভূতনাথ
ভেঙো নাকো মোর সাধনার ধ্যান ভেঙো নাকো বাঁধ বিধাতার সাধ
ধরিত্রীকে তুমি করো নাকো নাজেহাল
শস্য-শ্যামলা ধরণীর বুকে
জ্বালায়েছ মিসাইল রংমশাল
এ পৃথিবী নহে তোমার খিলনা
বিধাতা করিছে সৃষ্টি
বানিয়েছ তারে কদর্য আর
ধ্বংসের রাজনীতি
মানুষে মানুষে ক’র হানাহানি
ধর্মের নামে দাও উস্কানি
চলিতেছে খেলা শুধু মারামারি কাঁদিছে বিশ্ব ম্রিয়মান হয়ে
বলে দাও মোরে নিষ্কৃতি
পুড়ায়ে ফেলো যত কচকচি
ধর্মের নামে যত ভণ্ডামি
ওহে হিন্দু, ওহে মুসলিম
ওহে খ্রিষ্টান, ইহুদি
ওহে বৌদ্ধ, ওহে জৈন
ওহে শিখ, পার্সি
মিছে ভেদাভেদ করো নাকো আর
ধর্মের নামে মিছে কাটাকাটি
হইবে কালের প্রচন্ড রোষে
মৃত্যু সবার নিশ্চিত
পুঁথি ছাড়ি দেখো মনের গহনে প্রেমের জোয়ার বহিছে ভুবনে ফুলগুলি সব হাসে উল্লাসে গান গায় পাখি সানন্দে প্রবাহিণী ধারা সলজ্জে হাসিয়া মিশে যেতে চায় সাগরে কেন আমি তবে মানুষকে মারিতে প্রেমের মালা ছুঁড়িয়া ফেলিয়া বসি হিংসা-বারুদ স্তুপে
প্রেম বিনা বৃথা খুঁজি ঈশ্বর
হিংসা অনলে দানব উজাগর
মহাপ্রলয়ের ঘন্টা বাজিছে
ঐ শোনো তার নাদ
বিশাল আকাশ ঢাকিয়া ফেলিছে
মহাপ্রলয়ের তাজ গর্জে উঠিছে মহাকাল আজি
বিশ্বে প্রলয় অবিসংবাদী
হোক না তোমার লম্বা দাড়ি
হোক না মাথায় টুপি
হোক না বিশাল লম্বা জটা
নেড়া মুন্ডি বা পাগড়ি
বিধাতারে তুমি খুঁজিছ কোথায়
দাড়ি, টুপি, জটা, পাগড়ি বা নেড়া মাথায়
কাব্যগ্রন্থে মেলেনা হদিস মেলেনা গ্রহে বা সাগরে আমি বলি তাঁরে জগৎ ছাড়ি
দেখো ভালোবেসে সবার অন্তরে
যে আঁখি দিয়ে জগৎ দেখি দেখিনা জগৎ স্বামীকে
সে যে প্রেম-ধন লুকায়ে রইছে
হাসে হৃদয়ে নীরবে