পরিহাস
পরিহাস
সকাল থেকে চরকি ঘুরে,
দূর হতে অনতিদূরে
পৌঁছলাম বাবুদের বাড়ি।
কামারহাটির পথ পেরিয়ে,
গঙ্গার ঘাট বেড়িয়ে
ধরলাম শেষে কলিকাতার গাড়ি।।
পৌঁছতে হলো রাত
গিয়েই মাটিতে কাত,
একঘুমে ডাক দিলো কাক।
বাবুর চাপরাশি,
কইলেন হাসি হাসি-
"বোধনের আগে একবার বাজাও তো দেখি ঢাক।"
তখনও ভাঙেনি ঘুম
দালানে নেই পুজোর ধুম,
ভোরের আলোয় কেবল মূর্তিখানি জ্বলে।
বাবা নিলো ঢাক, আমি কাসর
মাতাতে হবে এই পুজোর আসর
দশমীর শেষে বাবু যেন আবার আসতে বলে।।
সব কিছু ছিল বেশ
কিন্তু সব শুরুর আগেই হলো শেষ,
কি নিষ্ঠুর এই সংসার।
বাবু বারান্দা হয়ে নেমে
দাঁড়ালেন এসে ঘেমে,
গর্জে উঠলো রাগে সর্ব শরীর তার।।
কে বলেছে এখন বাজাতে?
সক্কাল সক্কাল সকলের ঘুম ভাঙাতে
কে দিলো এত আস্পর্ধা?
বাবা পড়লো পায়ে লুটিয়ে
ছোট্ট দেহটা গেল গুটিয়ে
বললো আমি এটা করতে চাইনি কর্তা
ওই আপনার চাপরাশ
করলো আমাদের সর্বনাশ
আপনি শুধোন ওকে -
সে তো বাবুর ডান হাত
তাই পেলো না কোনো অপবাদ
সত্যিটা পড়লো চাপা মিথ্যেরই ঝোঁকে।
আমাদের চোখ জলে ভাসে
তাতে আর বাবুদের কি যায় আসে?
সে টাকার নেই কোনো দাম।
যা শুধু তোমার পূজায় লাগে
একটি দানাও জোটে না মোদের ভাগে,
কোন মুখে বলতো দেখি করবো তোমার নাম?