ফেরিবুড়োর হাঁসি
ফেরিবুড়োর হাঁসি
ওই দেখো নদীর পাড়ে
যাচ্ছে একে বেঁকে,
মনে হচ্ছে ফেরিওলা
দাও তো ওকে ডেকে।
অনেক দিন হয়ে গেল ,
আসোনি এদিকে
মনে হয় কাজের চাপে,
ভুলেছো আমাকে।
কত কিছু কেনার আছে
রেখেছি মনে করে
কই এদিকে তো আসছে না-
ডাক না ওকে জোরে
বটতলা থেকে ডানদিক ছেড়ে
বামদিকে কেন ঘোরে?
কোনোদিন তো হয় না এমন
আজ ভুললো কেমন করে?
ও ফেরিওলা, ও ফেরিওলা
যাও কেন ওদিকে?
পেছন ফিরে রয়েছ কেন,
তাকাও না আমার দিকে।।
একি! তুমি তো সেই ফেরিওলা নয়
যে আসতো আমার কাছে
দুহাত ভরে জিনিস দিত
আমি নিতাম হাত পেতে।
ঈষৎ হেসে বললো আমায়-
"আমি রতন ফেরিবুড়োর ছেলে-
কি হলো বলো ডাকলে কেন?
কি চাইছিলে?"
'ফেরিওলা আসবে না আর?'
সুধাইলাম তারে-
আলতো স্বরে বললো রতন,
"না ! আসবে না সে,
মিলিয়ে গেছে তারকাদের ভিড়ে।
দু সপ্তাহ কালা জ্বরে ভুগতেছিলো বাপ
শেষের রাতে থামলো কথা হঠাৎ আপনে আপ-
এবার বলো কি চাও তুমি-
মুখোশ না বাঁশি?
আমি বললাম পারবে আমায়
দেখিয়ে দিতে একবার সেই ,
ফেরিবুড়োর ফোকলা মুখের হাসি?"