নিয়তি
নিয়তি
দীর্ঘ পাঁচ বছর পর দেখা হল আমাদের,
হয়ত বিধাতা চেয়েছেন নতুবা কাকতালীয়।
আজ খুব স্পর্শ করতে ইচ্ছা করছে----
তোমার দুটি হাত,
যদিও জানি আমি অপারক।
যখন অধিকার ছিল তখন ভয় পেয়েছি,
বোধহয় পারব না বলেই ইচ্ছেটা প্রবল আজি।
তুমি ঝরনার মতো হাসছো।
আমিও হাসছি,
সর্বহারা মানুষ যেভাবে সান্ত্বনা পাবার পর হাসে,
সে রকমই নিষ্প্রভ হাসি।
আগেও তুমি হাসতে------
চোখে স্বপ্ন আঁকতে ঘর বাঁধার,
তবে সে ঘর অট্টালিকা।
সেখানেই রচনা করবে বলছিলে
আমাদের গৃহকোণ।
বাঁধ সেধেছিলাম আমি,
বলেছিলাম--- পারবনা বদলাতে
আমার জীবনযাত্রা।
তুমি বলেছিলে---- আত্মকেন্দ্রিক, স্বার্থপর,
তোমার চোখের জল ধূলোয় একেছিল
স্বপ্নের অট্টালিকা।
তারপর বিয়ে হল তোমার,
এক ধনী ব্যবসায়ীর সাথে।
সত্যিই তুমি অট্টালিকার রাণী হলে।
যদিও আমার খড়ের চালের নিচে বসে,
সে অট্টালিকার কল্পনা নেহাতই ছেলেমানুষি।
আমি খাতা-কলম নিয়ে বসলাম খোলা মাঠে,
কবিতা লিখবো বলে।
হঠাৎ ঝড় উঠলো------- ভাবলাম,
ঝড় যদি নিয়ে আসে নতুন কোনো কবিতার ছন্দ,
বসেই রইলাম।
আচমকা তীব্র করাল বজ্রপাত
পুড়িয়ে দিল কবিতার খাতা,
ঝলসালো আমাকেও।
আমার পছন্দের মেহেন্দী আজ
তোমার দুহাতে রয়েছে আঁকা।
কিন্তু সে মেহেন্দীর প্রতিটি রেখায়,
আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি আমার
প্রিয় কবিতার পোড়া অক্ষর গুলো।
যদি আর একটিবারের জন্যও ঐ
ঝলসানো অক্ষর গুলো আমি স্পর্শ করতে পারতাম,
তবে এ জীবন আমার ধন্য হত।
না, ভুল বললাম-----------
ধন্য হত এ মরন।