আঠারোতেই
আঠারোতেই
আঠারোতেই
সুশান্ত কুমার ঘোষ
পরজন্মেও চাই তোমাকে যখন আমি অষ্টাদশী
বয়স আমার থাকবে ওটাই ওই টুকুতেই থাকব খুশি !
মিলিয়ে নিও পরজন্মেও আঠারোতেই পরব প্রেমে
সময় যতই এগিয়ে চলুক ওই বয়সেই থাকব থেমে ।
সবাই তো চায় প্রার্থনা তার উপচে পড়ুক কানায় কানায়
আমি চাইব আঠারোটাই পূর্ণতা পাক ষোলো আনায় ।
তুমি না হয় একুশ হোয়ো , বাইশ পঁচিশ তাতেও রাজি
তিরিশ হলেও আপত্তি নাই থাকো যদি এমনি পাজি ।
বয়স তোমার বাড়েও যদি বছর ঘোরার তালে তালে
তাতেও আমি খুশি হব পাগলামিটা দ্বিগুণ হলে ।
ছন্নছাড়া বেহিসাবি পাগলটাকেই ভালোবেসে
পাহাড় নদী সাগর বনে রোজ নিরালায় মিলব এসে ।
আমার সকল সকালগুলো শিশির ভেজা রৌদ্র হয়ে
রাঙিয়ে দিও শরীরটাকে পুবের খোলা জানলা বেয়ে ।
অনন্ত নীল আকাশ হয়ে সারাটা দিন ছড়িয়ে থেকে
সন্ধ্যা হলেই তারার ফুলে সাজিয়ে দিও শরীরটাকে ।
বুকের ভিতর বিরাট কানন সেই কাননের হাজার গাছে
দেখব এসে রোজ বিকেলে
ফুলের মেলায় ফাগুন নাচে ।
রঙের নেশায় বিভোর হয়ে হুমড়ি খেয়ে হঠাৎ করে
তুফান জাগা বুকের উপর বাঁধব তোমায় বাহুর বেড়ে ।
হাওয়ায় ওড়া রেশমি চুলে তোমার হাতের পরশ পেলে
যখন আমার লুব্ধ হৃদয় আচম্বিতে উঠবে দুলে
তখন আমার তপ্ত-শ্বাসে ইচ্ছে তোমার উঠবে তেতে
দুষ্টু অধর অসংকোচে রঙ্গ-লীলায় উঠবে মেতে ।
দগ্ধ দেহের গুমোট ভেঙে আছড়ে পোড়ো ঝড়ের মত।
মাতাল করা চাঁদনী রাতে চাঁদ সাগরের জোয়ার যত
ঢেউয়ের উপর ঢেউ জাগিয়ে ভাসিয়ে দিও নিরুদ্দেশে
রাত ফুরলে সিক্ত দেহে তোমার বুকেই উঠবো ভেসে ।
বর্ষারাতে জানলা খুলে কদম ভেজা বৃষ্টি মেখে
ঝোরার মত তুফান তুলে রাগ মুছিও শরীর থেকে ।
যখন তোমার দস্যিপনায় শরীর হবে এলোমেলো
সোহাগ করে বলবে আমায় দাগগুলো সব লুকিয়ে ফেলো ,
আমি তখন চমকে উঠে লাজের ভয়ে উঠবো কেঁদে
তুমি আমায় পথ দেখিও একটা মজার গল্প ফেঁদে ।
হয়তো আমি থাকবো বোকাই তুমি যেন চতুর থেকো
অগোছালো আঠারোকে ষাটের মত গুছিয়ে রেখো ।