নৈঃশব্দ্যের সীমান্তে
নৈঃশব্দ্যের সীমান্তে


বিষাদের ছায়া নামছে রোজ ব্যস্ত শহরের অবসাদে,
বসন্তের বিদায়ক্ষণে নিঃশব্দ সকালদের মজলিসে,
ক্লান্ত অবসরে চেনা বাইপাসের অচেনা এজলাসে।
উদভ্রান্ত জীবন প্রতি মুহূর্তে মরণের পদধ্বনি শোনে,
মহামারীর প্রকোপে লাশের মিছিল মৃত্যু উপত্যকায়;
অপেক্ষারত ক্ষুধার্ত সময় প্রাণঘাতী ঘ্রাণে নেশাচ্ছন্ন,
অবসাদগ্রস্ত সমাজবেড়ি আর আতঙ্কিত যাপনচিত্র!
যন্ত্রণা আঁকড়ে ধরে প্রকৃতি আজ নিস্তরঙ্গ, নিশ্চুপ,
প্রয়োজনেও বন্ধ সমস্ত বিনিময় কিংবা যোগাযোগ;
আগ্রাসী বিভীষিকায় বিস্মৃত দিন-রাতের তফাৎটা!
অঘোষিত শূন্যতা বাড়ছে প্রতিদিনের দিনলিপিতে,
নির্জন লালবাতিও পুড়ছে বন্দী দশার ভীষণ জ্বরে।
প্রতিকূলতা পার করে একুশের প্রযুক্তি সমাবেশেও
জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষ আজ বড় অসহায়!
ভালোবাসাও ছোঁয়াচে অসুখের মৃত্যুভয়ে আক্রান্ত,
গুমোট আবহাওয়ায় আবদ্ধ জীবনে আমরা সন্ত্রস্ত!
গ্রীষ্মের দুয়ারে ভিক্ষাপাত্র হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি,
নিস্তব্ধ স্বপ্নেও খুঁজে চলি বেঁচে থাকার অন্তিম চিহ্ন।
কবিতা আসছে না, কলমও ধুঁকছে শব্দের মড়কে,
তবু ভেতর ভেতর লালন করে চলেছি একটু আশা -
প্রত্যেকটা সকাল নিথর নীরবতায় না পৌঁছে দিয়ে
একুশ দিনের লকডাউন সংক্রমণের পথে দিক দাঁড়ি,
রাত্রিশেষে পাব নিষ্কলুষ পরিবেশের আদুরে আলাপন,
নিরুদ্দেশে আতঙ্ক উড়িয়ে আবার বাঁচবে নবজাগরণ।