মশাল
মশাল


অনেকটা জ্বালানিও এনে দিতে পারি-
তুমিও মশালে ভরেছ
তুমিও ইটের শহরে ভরে নিচ্ছ কাঠকয়লা, পেরেক-
চিৎকার করে লোক জড়ো করছে কেউ
টেলিফোন ডায়রেক্টরি থেকে লিখে নিচ্ছে ঠিকানা
জেনে নাও প্রকৃত সময়
প্রতিদিন রাত্রে ঠিক কখন হাঁটে মোমবাতি মিছিল...
ঘর ভেঙেছে দুর্গেশনন্দিনীর
সঙ্গে পার্বতী সোরেনেরও-
উপায় আছে অনেক
কেউ উঠোনের জন্য কুপিয়ে আনছে মাটি,
কেউ কুড়িয়ে আনছে প্রাচীন নগর-সমাজ।
নির্জনে কখনো অপরাধপ্রবণ হয়ে ওঠে না কেউ-
সমস্ত অপরাধ সকলে রেখে যায় শুধুমাত্র অন্যের হাতে
উপান্তের নদী আর বৃষ্টিচ্ছায় ঢাল
প্রয়োজনেও জ্বালানি ভরে নেয় নি বুকে...
আসলে মশাল বইবার জন্য কার্যত কিছু হাতের দরকার...
এখনই সমস্ত নির্মীয়মান আগুনে তুমি পুড়িয়ে ফেলো না নিজেকে...