মহামারী

এই তো সেদিনও ছিল কত কথা

  ছিল কত হাসি-কত কলতান,

ছিল কত আশা আকাঙ্খা,

   ছিল কত আনন্দ-ছিল কত 

মান-অভিমান!

   ছিল কত ঘোরা বেড়ানো,

কত মেলামেশা,

   ছিল কত প্রেম-প্রীতি,কত ভালবাসা!

ছিল কত হিসেব-নিকেশ

     কত চাওয়া-পাওয়া,

ছিল কত রঙিন স্বপ্ন চোখে

   কত আনন্দানুষ্ঠান-

কত খাওয়া-দাওয়া!

    সহসা এক দমকা হাওয়া

সব করে দিল এলোমেলো,

   জীবন যাত্রার সব সমীকরণ 

এক লহমায় বদলে দিলো। 

   ধরায় হঠাৎ অদৃশ্য দানবের আগমনে

গৃহ বন্দি আজ মানব জীবন,

   মনে সদা এক চাপা আতঙ্ক 

ঠোঁটের কোণে করুণ হাসি,

    মাথার মাঝে হাজার চিন্তা

বাঁচার লড়াই অহর্নিশি।

   স্বপ্ন গুলো আজ আর 

নামে না চোখের পাতায়-

   আতঙ্কের কালো 

কুন্ডলী পাকানো ধুঁয়োয় 

     ঢেকে গেছে চোখ,

আশা-আকাঙ্খা-পরিকল্পনা গুলো 

    দুশ্চিন্তার চাদরে গেছে ঢেকে,

প্রাণ খুলে হাসতে ভুলে গেছে লোক। 

    শিশুসুলভ শৈশব আজ 

ঘরের চার দেওয়ালে বন্দি-

    জনজীবন থমকে গেছে 

মহামারীর থাবায়,

    চোখে জল,মুখে করুণ 

হাসি সকলের-

     মনে একটাই প্রার্থনা-

‘দূর হোক মহামারী

    দূর হোক মানব জীবনের 

সব রোগ-শোক,

    উপশম হোক সব জ্বালা যন্ত্রণা-

শেষ হোক মানুষের সব দুর্ভোগ।