মায়ের মতন
মায়ের মতন
চোখে কয়েক ফোঁটা আফসোস আর
আঙুলের কড়ে কড়ে অপরাধ জমে আছে আজ।
ক্রমাগত তারা স্ট্যালাকটাইটের আকার ধারণ করেছে।
নিত্য সহযাত্রীদের পায়ের ছাপ গুণতে গুণতে শুকতারাও আজ ক্লান্ত,
সম্পর্ককে ধ্রুবক মনে করে পরিসংখ্যানের খেলায় বারেবারে পরাস্ত হওয়াটা অভ্যেসে দাঁড়িয়েছে।
বন্ধু–শত্রু–মুখচেনা–অচেনা সবই আপেক্ষিক!
কালকের কিশলয় আজ আঙিনা জুড়ে হলদে কার্পেট বিছিয়ে দিয়েছে;
তার দীপ্ত অধিকার এখানেই।
নদীর প্রবাহিত জলধারার সাথেই ভেসে গেছে মুহূর্তদের ঠিকানা–আজ তারা বিমূর্ত।
প্রেম ও ঘৃণার প্রস্রবণের মাঝে উদ্ভাসিত বেরঙীন বিশ্বাস ভরসার শব্দ বাদ গেছে অভিমানের তালিকা হতে;
বড়শিতে গাঁথা আছে নিমন্ত্রিত অসুখের চোখ।
টানাপোড়েন মুছে যায় একদিন, মিলিয়ে যায় রোদ,
সবুজ ঘাসকে জড়িয়ে ধরে জ্যোৎস্না,
দূর হতে আরো দূরে পাড়ি দেয় বিরহী শরীর।
সে যদি শাসন করত একবার,
সে যদি ক্ষমা লিখে যেত সমাধিতে,
সে যদি মা হত!
