কথার সুতো
কথার সুতো
আমাকে কেউ বেঁধে রেখে ইচ্ছে মতো চালালে,
আমার কি আর লাগতো ভালো?
কক্ষনো নয়, শত্রু ভেবে ভাবতাম ও মরলেই ভালো।
হ্যাঁ এটাই চরম সত্যি, কারণ স্বাধীনতা সবার প্রিয়,
যদি মায়ার বাঁধনে বেঁধে ভুল করে থাকি,
প্লিজ আমাকে মন থেকে ক্ষমা করে দিও।
তবে বিশ্বাস করো লাটাইতে কথার সুতো,
জুড়ে জুড়ে, খুব যত্ন করে রেখেছি,
লাগতে পারে তাই, মান্জা দিতে ইচ্ছে করেই ভুলেছি।
মায়া নিশ্চয়ই আছে, থাকবেও, তবে জোর নেই,
ভালোবাসলে, ইচ্ছে হলে, থাকবে !
তা নইলে নিজের খুশি মতো ভোঁ - কাট্টা হয়ে যাবে।
ভাবছো আমি কাঁদবো ? না, না একটুও কাঁদবো না।
তুমি কষ্ট পেলেই আসে আমার কান্না,
খুশিতে আছো জানলে চোখে একদম জল আসে না।
কত দূরে আর তুমি যাবে বলো!
থাকবো তো দুজনে আমাদের এই পৃথিবীতেই,
যদি পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে আরও দূরে চলে যাও,
তাহলেও থাকতে হবে একসাথে এই মহাবিশ্বেই।
তোমাতে - আমাতে যতো কথা হয়েছে,
সব কথাই তো এই লাটাইতে যত্নে রাখা আছে।
কথার সুতোর লাটাইটা তো থাকলো আমার কাছেই,
ঘুড়ি না থাকলেও সুতো গুলো তো আছেই।
মাঝেমধ্যে সুতো গুলো করে দেবো এলোমেলো,
আবার গোছাতে বসবো করে আমার চুল এলো।
তখন যদি ফুলেল তেলের সুবাসে মৌমাছি হয়ে,
ইচ্ছে হয় আমার চুলে এসে বসতে,
একটুখানি আমায় গান শোনাতে ইচ্ছে হয় !
শুনিও, পাবনা ভয়, জানি তো,
তখন তুমি মৌমাছি, ঘুড়ি নয়।
লাটাইটা তো আর দরকার হবেনা !
তাই সব সূতো গুছিয়ে স্মৃতির ঝাঁপিতে রেখে দেবো।
যে কটা দিন বাঁচবো স্মৃতির ঝাঁপি থেকে,
কথার সুতো নিয়ে যখনই ইচ্ছে হবে খুলে পড়বো।
পড়তে যে আমি কতো ভালোবাসি তা তো জানোই,
কালে কালে চোখের দৃষ্টি গেলেও অসুবিধে নেই,
এগুলো যে পড়া যায় চোখ বন্ধ করেই।