জননী
জননী
কে তুমি? মীরা, রীনা নাকি আধুনিকা নন্দিনী!
আলো ছায়া দিয়ে গড়া তোমার মুখ বাস্তবে দেখিনি।
কোন অভিমানে তুমি কপালে একটা টিপও রাখোনি,
তোমার হাসিতে যে কান্না ঝরছে তা কি তুমি দেখনি?
পরশ পাথর পেয়েও ভুল করে ছুঁড়ে ফেলে দিলে,
কপালের ফেরে বোধহয় চিনতে তুমি পারো নি!
প্রেম কে স্বীকার করো না, তুমি নাকি শুধুই জননী।
পড়াশোনা করে স্বাবলম্বী হলেই তো দেখি মুশকিল,
যেন সংসার মৌচাকে পড়ে এসে অজানা এক ঢিল।
আত্মসমর্পণ কর্পূরের মতো উবে যায়,
আত্মমর্যাদা এসে মনের দখল নিয়ে নেয়,
দুজন মানুষের একসাথে থাকা হয়ে ওঠে যে দায়।
বিষম পরিস্থিতি ধীরে ধীরে জটিলতা সৃষ্টি করে,
দুটো মন কাছাকাছি থেকেও যদি এভাবে দূরে সরে!
নির্ভরতার পৃথিবীর দেখা, বলো শিশু কোথায় পায়?
বড় হতে হতে শিশু যে এভাবেই একা হয়ে যায়।
মানুষ যে এই পৃথিবীতে আসলে একাই, এই কথা,
খুব তাড়াতাড়ি বুঝে গিয়ে মনে পায় যে শিশু ব্যাথা।
পরিবেশের প্রভাবে কাদার তাল হয়ে যায় কঠিন,
পাথরের মতোই হয়ে ওঠে স্নেহ, মায়া, মমতাহীন।
সাধু হতে গেলেও মানবিকতার হয় প্রয়োজন,
মানুষ রোবট হচ্ছে পৃথিবীতে এভাবেই দিন কে দিন।
মীরার মতো শ্যাম কে ভালোবেসে কে গান শোনাবে,
এই পৃথিবীতে কঠিন মনের মানুষের মানবিকতা,
কোন মন্ত্রে, কি করে বলো কেউ জাগাবে ?
ভালোবাসা না পেলে ভবিষ্যতে আবার কি করে,
মনের মতো সন্তান এই পৃথিবীতে আসবে ?
তখন তুমি কি করে আদর্শ সন্তানের জননী হবে !