জীর্ণ ইচ্ছেটা
জীর্ণ ইচ্ছেটা
রাত্রি কখনো ঘনিয়ে আসে
সমগ্র অনিশ্চয়তার জগৎ জুড়ে,
যখন মনটা অন্ধ নেশায় মত্ত
তখন বাস্তবের ভূমি অতিক্রম করে অন্ধ কল্পনাও
ইচ্ছেটা তখন পাড়ি দেয় কোনো এক দূরের দেশে
কোনো এক অজানা তৃপ্তির খোঁজে,
অনিশ্চয়তার রাতকে সঙ্গী করে
সে তখনও বেঁচে থাকে
গভীর রাতের সুন্দর স্বপ্নের সূচনার অপেক্ষায়।
কখনো কখনো ইচ্ছেটা পথ চলে মরুর দেশে
উত্তপ্ত বালির ওপর দিয়ে পায়ে হেঁটে
সূর্যের প্রখর তাপকে উপেক্ষা করে
অথবা সেই প্রখর তাপে চূর্ণ- বিচূর্ণ হয
ইচ্ছেটার নিস্পাপ কোমল সুন্দর হৃদয়টি,
তখনও সে বেঁচে থাকে
সুন্দর স্বপ্নটা কে বাঁচিয়ে রাখার আশায়।
ইচ্ছেটা কখনো সাঁতার কাটে অসীম সমুদ্রবক্ষে
তাকে অতিক্রম করার ব্যর্থ প্রচেষ
্টায়,
তখনও সমুদ্রের হাজারো ঢেউ
সজোরে আঘাত করে তার বুকে;
মুহূর্তেই হারিয়ে যায় সে অসীম জলরাশির মাঝে,
তবু ইচ্ছেটা তখনও বেঁচে থাকে
সুন্দর স্বপ্নটা পূরনের আশায়।
তবুও শেষের রাত্রি
যখন ভোরের আলোকে স্বাগত জানায়
রাতজাগা ইচ্ছেটা তখনও বেঁচে থাকতে চায়
চির সত্যের মাঝে
বাস্তবের সঙ্গে বোঝাপড়া করে,
কোনো এক অপূরণীয় আশা পূরনের আশায়।
কিন্তু হঠাৎই কোনো এক নিষ্ঠুর মুহূর্তে
সুন্দর স্বপ্নগুলো একরাশ নিরাশা বুকে নিয়ে
ঝাপ দেয় আগুনের মাঝে
আত্মহত্যার ব্যর্থ প্রচেষ্টায়,
অর্ধদগ্ধ স্বপ্নগুলো তখনও বেঁচে থাকে,
তারা যে কখনো মরে না
চিরকাল জীবিত থেকে
শুধুই অপেক্ষা করে আরও একটি সুন্দর স্বপ্নের।।