ঝুরু ঝুরু
ঝুরু ঝুরু
বকুল এর ফুল পড়ছিলো ঝরে ঝুরু ঝুরু করে,
জানালার কাছে বসেছিলো সে যে
করতলে দিয়ে তার মাথা, এটুকুই মনে পড়ে ।
আর সব আমিও গিয়েছি তার মতোই ভুলে,
যেভাবে সেও ভুলেছিলো মালা গাঁথা।
তবে বেশ মনে আছে এই গান নিয়ে গল্পটা,
শুনেছি দক্ষিণীতে স্বরলিপি নিয়ে চলতো,
গানের স্বরলিপির ব্যাকরণের বিষম লড়াই।
একঘরে হয়েও দেবব্রত বিশ্বাস ছাড়েননি বড়াই,
তাঁর মতে, মোটামুটি একটা স্বরলিপির কাঠামো
ঠিক রেখে গান করলেই হলো।
আসল কথা হলো গানের ভাবটাই !
কারণ গানের উদ্দেশ্য মানুষের মন ছুঁতে পারাটাই।
তো, কিছু স্বাধীনচেতা ছাত্র ছাত্রী তাঁর জুটেছিলো,
কেউ কেউ পরে খুব নামডাকও করেছিলো।
এক, এস. ডি. ও. ছিলেন ছাত্রদের মধ্যে একজন।
চেহারায় তিনি বেশ লম্বা চওড়া জওয়ান,
জিপে করে গান শিখতে আসতেন।
জর্জদা গানের শিক্ষক হলেও তখন বাইক চালান ।
কিন্তু ঐ গানটা এস. ডি. ও সাহেব যতবার গান,
ঝুরু ঝুরু কথাগুলো কে ঝুড়ু ঝুড়ু বলেন।
বারবার বুঝিয়ে দিলেও এক ই ভুল করেন,
দেবব্রত বিশ্বাস বিরক্ত হয়ে বলে ওঠেন
আপনি কি মারামারি করতাছেন ?
একটু নরম কইরা কন!
তাতেও কাজ না হলে , আবার একই ভুল করলে,
"আপনের দ্বারা গান হইবোনা"
কথাটা মুখের ওপর স্পষ্ট বলে দেন।
