--ইতি ব্রিগেড --
--ইতি ব্রিগেড --
ঠিক যেমন করে হাজার হাজার জলের ধারা,
মিলে গিয়ে, তৈরি করে এক পাগলপারা নদী,
তেমন করেই, গ্রাম থেকে শহর, হাজার ধুলো পেরোনো মিছিলগুলো,
মিশে যাচ্ছিলো একে একে, এক বৃহৎ যান্ত্রিক জনসমুদ্রে।
হাজার দাবির প্রতিদ্ধনি, গর্জে উঠছিলো বারবার।
ক্লান্ত পায়ে, এগিয়ে চলা মুখ গুলো,
যেন লক্ষ্যে থেকেও লক্ষ্যহীন যাত্রী।
যেন, হাজার হাজার সম্মোহিত মুখোশের ভিড়।
সেই ভিড়ের মাঝেই হয়তো লুকিয়ে আছে,
কোনো এক, বয়সের ভারে নুইয়ে পড়েও,
শিরদাঁড়া সোজা করা নীতি নিয়ে বেঁচে থাকা,
ঝাপসা চোখের, প্রতিবাদী কণ্ঠ।
কোথাও বা, বাবার হাত ধরে, প্রথম শহরে আসা,
দুচোখে অপার বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে থাকা,
একটা শুকনো কচি মুখ, আপন মনে,
বুনে চলেছে হাজার স্বপ্নের জাল।
আবার সেই মুখোশের ভিড়েই,
সত্যি মুখোশধারীরা, মিছিলের তালে তাল মিলিয়ে,
এগিয়ে চলা হিসেবে কসা পদক্ষেপে,
মিলিয়ে নিচ্ছিলো লাভ ক্ষতির খতিয়ান।
আর সেই রং বদলানো মুখোশধারীদের মাঝেই ছিল,
সাদা কালো মুখে, দৃপ্ত গতিতে চলতে থাকা,
শাসনতন্ত্রের এই জং ধরা অচলায়তনের,
সত্যিকারের বদল চেয়ে পথে নামা এক ঝাঁক নবীন।
তবুও সবার মাঝে, হঠাৎ স্পষ্ট হয়ে ওঠা,
এক দল ক্ষুদার্ত চোখ, ক্লান্ত পদক্ষেপে,
টেনে নিয়ে চলেছিল নিজেদের।
সেই চলাতে, না ছিল পরিবর্তনের দাবি,
না ছিল বিপ্লবের আগুন।
হিসেবের রং বা রঙের হিসেবে না বোঝা,
সেই বোবা দৃষ্টিগুলো হারিয়ে গেছিলো,
মিছিলের গন্ডি ছাড়িয়ে অনেক দূরে।
যেখানে শামিয়ানার আড়ালে রান্না হচ্ছিলো,
মিছিল মহোৎসবের ভোগ।
ধোঁয়া ওঠা ঝাল ঝাল ঝোল আর গরম ভাত।
যা এক গ্রাসেই মুছে দেবে বছরভরের,
পোড়া ভাত আর সেদ্ধ শাকের স্বাদ।