ইসফিসকুলের এলিজি
ইসফিসকুলের এলিজি


এক এক্কে এক,চরকা বুড়ি দুই,
তিন পেরিয়ে পাঁচ,চারের দেখা নাইরে তোমার দেখা নাই......
পেরেন্ট-টিচার্স মোলাকাতে এখন
বারোয়ারি দীর্ঘশ্বাস!
জমে জমে...
একটা গোটা শূন্যপুরাণ,
লিখতে লিখতে....
ঢ্যাঙা লিখন-ভঙ্গিমা,
ল্যাং ছেড়ে ঠ্যাং ছেড়ে....
নিটোল পা ধরেছে উঁচুগ্রামে,
সরগমের বিন্যাস ছুঁয়ে কেউ দেখল না,
ভূত-ছাড়ানো সরষের ভেতরেও কেমন
ডিএনএর অনুক্রম!
অ্যালমামাটার খুইয়ে ফেলছে
ম্যাটারের রোমান্সিকতা,
আশ্চর্য নেভানো ড্রইংরুমে,
হাফপ্যান্টের স্বপ্নডাঙা,
ফেড হয়ে আসছে...
মেধাবীলতার ঘুমযায়ী পাগলপন,
পেরেন্টাল ছুটমার্গিতায় থাকছে
বোকাবক্সের কেলগ্ হাসি!
আন্ডা-বাচ্চা ফুটে উঠল ব্রেকফাস্ট টেবিলে
বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে রুটি-ঝোলাগুড়ের রসায়ন।
উদাসীন জলাবর্তের বায়োডেটায় ভরে তুলছি
এক্সেল শিটের ঝুলন্ত কলাম।
সমস্ত রো জুড়ে রুয়ে দিচ্ছি জট পাকানো অ্যাবসার্ডিটি।
ইসকুলের এলিজি থেকে উঠে আসছে একমুঠো জিজ্ঞাসা চিহ্ন।
জানাঞ্জনের ধুঁয়ো দিয়ে দিয়ে ধোপসহানো অস্তিত্ব!
ছুটগ্রস্ত শতাব্দীর পায়ে ফুটছে
নিখিলবঙ্গ গান,
আজি এ বসন্ত দিনে
বাড়ি ফিরছি মাংস কিনে,
স্থানাভাবে পিঠেপুলির পাছড়ানো প্রশ্নেরা
ঢুকে পড়ছে মাধ্যাকর্ষণের খাদ্যমুখী টানে।
পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার জলতল সরে গেলে
জেগে ওঠে পূর্বনির্ধারিত পাসকেলের অনুবর্তী অবস্থান।
কৌণিক মাপ আর মাপের অভাব নিয়ে
কুহেলিকা হেলে যায় ব্যাল্কহোল মিথে.....
বিষণ্ণ এন্ড্রোমিডার পিঠে তখন
দিস্তে দিস্তে হোমওয়ার্ক
এলাডিং বেলাডিং সইফস্কানো বিকেল
একটা গল্প লিখে রাখছে
মাইক্রোসফ্টের গোপন খাতায়
পাসওয়ার্ডে থাকছে পটারের ব্রুমস্টিক
ওড়নকলার ম্যাজিককলমে
পাঠ্যপাহাড়ে ঠোক্কর লেগে লেগে
শূন্যায়নে নেমে গেল ভিটামিন।
আহা!সবুজ খোয়ানো পায়ে চলার সিম্ফনী বাজে না আর।
ঝিমধরা নামতার স্যাঁতানো পাঠশালা ফেলে
ওই দেখো আলোবিদের ভালোপাহাড়।
গাছতলার ইশকুলে বৃক্ষুর মন্ত্র ঝরছে।
চলো, খোলা আকাশের দরজা খুলে
শিখে নিই ফিবোনাচি নৃত্যের মুদ্রাসকল!