বৃক্ষু
বৃক্ষু


বিষণ্ণ মেঘেদের পরিযায়ী অবয়বে রঙিন ডানা দেখি না আর।
বসুধার বিস্তৃত কোল জুড়ে দুপেয়ে শারীরবৃত্ত।
ফনাওলা বিষবাষ্প।
তিক্ত চুম্বনে শুষে নেয় জলকণাদের ঠোঁটের জলছাপ।
রামধনুর কিনার ধূসর থেকে ধূসরতর।
অথচ বালি রোডম্যাপের পতাকা মঞ্জুলিকা!
চেয়ে দেখি, বৈনতেয় এখনও বিনত আবর্তের ঘোরে।
দিনান্তে একমুঠো আবিরের নেশা।
নিত্যদিন উৎসব।
সন্ধ্যাকালীন অলিন্দে অনাবিল বসন্তবাহার।
সেন্টিগ্রেডের উপচে ওঠা মাত্রাদের ঢোল-শোহরত যেদিন ঢুকে পড়ে আমাদের ত্বকের গভীরে;
শহরের বিলাসী পানপাত্রের কিনার ছাপিয়ে বিতর্ক-প্রণালী, যমুনা হওয়ার শপথ নেয়।
তেতে ওঠে তরলধর্মী তৃতীয় বিশ্ব; শাসক চুল্লির চর্মাবরণে।
শ্যাম রাখি না কূল রাখি নৃত্যে তা তা থৈ থৈ।
ওই দেখো, চৌকির ঘুণধরা কাঠামোর আনাচে কানাচে
যতটুকু অক্সিজেন এখনও চরিঞু;
সেখানেও বৃক্ষুর সুইসাইড স্কোয়াড কর্মরত।
ওখানে কোনো প্রথম দ্বিতীয় বা তৃতীয় বিশ্ব নেই।
স্বাধীনতাকামী বৃক্ষুর মিনিটখানেক ধর্মঘটের ডাক।
প্রজ্ঞাপারমিতার তৃপ্ত রসনায় বেজে ওঠে তুঘলকি স্বাদ।
মনুর পুত্রদের কবরে সহর্ষ নৃত্যে মাতেন জ্যামিতিমনষ্ক ঈশ্বর।