হতাম যদি ভবঘুরে
হতাম যদি ভবঘুরে
হতাম যদি ভবঘুরে,
তাহলে সবার আগে উড়ে যেতাম ওই আকাশের কোলে,
মহাশূন্যের থেকে নীচে তাকিয়ে দেখতাম , পৃথিবীর ক্ষুদ্র ছবি।
হতাম যদি ভবঘুরে,
তাহলে একলাফে দাঁড়িয়ে উঠে যেতাম ওই হিমালয়ের চূড়ায়,
সেখানে দাঁড়িয়ে উপভোগ করতাম
মায়াবতী একাকিনী পাহাড়ের অপার্থিব সৌন্দর্য।
মায়ার আবেশে নিজেকে জড়িয়ে ,
ঘুমিয়ে পড়তাম বিশাল পর্বতের কোলে,
হয়তো বা লিখতাম একটা দুটো প্রেমের কবিতা,
কিংবা নিজেই প্রেমে পড়ে যেতাম,
কানে তালা লাগানো নৈঃশব্দ্যের।
হতাম যদি ভবঘুরে,
তাহলে সমুদ্রের উপর হাঁটতে হাঁটতে দেখে আসতাম,
সে কতদূর পর্যন্ত গিয়েছে।
দেখে আসতাম কোথায় তার জলচ্ছ্বাস ,
শান্ত হয়ে বিলীন হয়ে গেছে।
রোদে পোড়া বালির উপর শুয়ে,
গেয়ে উঠতাম দু 'কলি গান।
হতাম যদি ভবঘুরে,
তাহলে অ্যামাজনের জঙ্গলে গিয়ে,
শঙ্করের মতন যুদ্ধ করে আসতাম প্রকৃতির সাথে।
হতাম যদি ভবঘুরে,
তাহলে নিজেই নিজেকে মুক্তি দিতাম,
শহুরে খাঁচার থেকে,
হতাম যদি ভবঘুরে,
তাহলে নিজেকে রাঙাতাম ,
প্রকৃতির রঙে।।
কলমে-আশালতা