হনুম্যান
হনুম্যান
নারায়ন দেবনাথের নাম তো শুনেছি অনেক পরে,
"শুকতারা"র পাতায় প্রথম বাটুলকে চোখে পড়ে।
নামের শেষে তার আবার "দি গ্ৰেট" ছিল যোগ করা,
সাথে দুষ্টু কটা সাঙ্গো পাঙ্গো নিয়ে ওরা মাতায় পাড়া।
দেখলেই রাগ হয়, কি তাদের চলন বলন, কি চেহারা!
তাই বলে অবশ্য কিছুতেই ছাড়িনা আমি ওসব পড়া।
আসলে তখন কোনো কিছু পড়ার ছিল এতোই তাড়া,
কে লিখেছেন? জানা মানে,মনে হতো সময় নষ্ট করা।
আসল উদ্দ্যেশ্য তো কি ঘটেছে সেই ব্যাপারটা জানা,
ছবি দেখেই অর্দ্ধেকের বেশী যেখানে হয়ে যায় চেনা !
বুদ্ধিটা, এইরকম ভাবে লেখার আইডিয়াটা, পছন্দ,
আর এখানকার চরিত্রর গুলো ? তাও বেশ নয় মন্দ।
কিন্তু কতগুলো দুষ্টু কে কি করে আর ভালোবাসি !
কেল্টুদার কির্তীতে তবুও পেতো একটু একটু হাসি।
সুপারিন্টেন্ডেন্ট পাতিরাম হাতির,নাম,পদবী চেহারা !
সত্যিই মনটাকে আমার করে দিত বেজায় খুশী ।
আরেকটা চরিত্র প্রথম দেখি "আজকাল"এর পাতায়,
পরে "স্পাইডারম্যান" কমিকসের বইটাও হাতে পাই।
ক্রমে তো পিটার পার্কার, আমার হিরো হয়ে যায় !
নিজেকে দেখি সাংবাদিক "মেরী জেন"এর ভূমিকায়।
তারপর পুরো ঘটনাগুলোই দেখতে পাই যে সিনেমায়,
সুপার - ম্যান, ব্যাট - ম্যান,কমিকসের বই থেকে উঠে,
চলে আসে সকলেই একেবারে সিনেমার পর্দায়।
এসব দেখে দেখে মনে ভাবি, হনুমান কম কিসে যায় !
সেও তো শুনেছি সূয্যি মামাকে লুকায় বগল দাবায়।
যদি হাতে থাকতো ক্ষমতা,নারায়ন দেবনাথের মতো!
হনুমানকে আমি ঠিক, "হনু - ম্যান" দিতাম বানিয়ে,
ভারতের পবনপুত্র, সুপার হিরো "হনু", তখন নিশ্চয়ই,
পৃথিবীতে প্রচুর বেশী জনপ্রিয়তা, যেতো পেয়ে।
সারা পৃথিবীর ছোটোদের হাতে এক বই দেখা যেতো,
হনু-ম্যান নামে কমিকসের সিরিজটাও ওরা দেখতো।
ভারতীয় সুপারহিরো তখন সকলের হৃদয়ে থাকতো!
