হে অন্ধকার, হে নিঃশর্ত ঋণ
হে অন্ধকার, হে নিঃশর্ত ঋণ
হে অন্ধকার, তুমি বেঁধে নাও রাতের আলফাস
ঘিরে রাখো আরও কিছু দমবন্ধ ঠোঁটের বাঁধন
লুকিয়ে লুকিয়ে তুমি দেখে রাখো শোবার ঘরের আলো।
গড়ে ওঠার আগে সমস্ত আদরের রং নীল
থরে থরে সাজিয়ে রাখা ঘরোয়া ভোরের মতো
কুয়াশাকে শোয়ানো আছে তোমার শরীরে...
গিঁট খোলবার কথা ছিল-
খোলা গেছে নিয়মমাফিক -
প্রত্যেকটি জিতে যাওয়া রাতে
তোমার নাম ঘোষণা হয়েছে বারবার।
আমি সন্ধান করেছি জোটবদ্ধ আর একটা দিনের-
যেখানে নাম না জানা উড়ন্ত মেঘেদের মতো
নিজের সঙ্গে শক্ত করে জুড়ে নিতে পেরেছি তোমায়।
ঘর গোছানোর আগে গুছিয়ে রেখেছি ধার্য মনসিজ -
আগের মতোই ঢেউ থেকে কুড়িয়ে রেখেছি অচেনা ঝিনুক
বিছানায় নিঃশ্বাসের পাশে সমান্তরাল শুইয়ে রেখেছি তাদের...
কেউ চাইতে এলে চিনিয়ে দিয়েছি তোমার একছত্র মালিকানা।
গঙ্গার ধারে এখনও ভিড় জমায় টিফিন পিরিয়ডে হারিয়ে যাওয়া মেয়েরা-
আজও তাদের মধ্যেই আমি চিনে নিই তোমার নির্জনতাটুকু-
ছুঁয়ে দেখবার আগে নিজেকেই জানান দিই আবার
আসলে রাত নয়, আমি একাকিত্বের কাছে ঋণী...
এভাবে নির্জনতা বিতরণে আমি তোমার সাহায্য চেয়েছি বরাবর
তুমি সঙ্গ দিয়েছো প্রতিবারের মতোই
আমার হাতে তুলে দিয়েছো গুনে গুনে বালিশ সাজাবার অধিকার।
আজ মালঞ্চ ছায়ানীড়ের নীচে পাতা আছে সৈকত
পায়ের ছাপ বলতে অচেনা দুটিই-
হয়তোবা আমার। অথবা কুয়াশা ভাঙা তোমার সাক্ষর-
শিশির ছড়ানো দরজায় কড়া নাড়া বারণ
এখনও আয়নায় আমি বুনে রাখি তোমার পোশাক...
যাতে প্রতিটা ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে আমি রাস্তা খুঁজে পাই প্রচ্ছায়ার বুকে।
হে অন্ধকার, তুমি খুঁজে নাও আমার অসুখ
সেরে ওঠবার আগে তুমি আবার ফিরে যাও বাগদত্তা ঠোঁটের আগায়...
আর একটু ঝুঁকে দেখো
আর কতটা নীচে গেলে নিজের বিছানায় পড়ে অবিকল অনিষ্ঠের ছাপ...