হাতিয়ার
হাতিয়ার
"আমাদের দাবী মানতে হবে, মানতে হবে,"
হাত মুঠি করে উঁচুতে ছুঁড়ে মিছিলে চলতো সবে।
প্রশ্ন করে উত্তর মিলেছিলো,
ন্যায্য মজুরি নাকি কিছুতেই হয়না দেওয়া।
মন সায় দিয়ে বলে উঠেছিলো,
উচিত তো এটা সকলেরই পাওয়া।
ছবিতে হাতুরির সাথে ছিল এক কাস্তে,
অথচ বলা হতো শুধু "দুনিয়ার মজদুর এক হও"
কেন কৃষকের দোষটা কোথায়? কৃষকের নামটা
তো করতে পারে উচ্চারণ, করুক নাহয় আস্তে।
কষ্ট করে, মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফলায় ফসল,
তাই খেয়েই তো সকল লোকের বাড়ে বল।
ফসলের সঠিক দাম পাবার,
ওদের ও তো রয়েছে ন্যায্য অধিকার।
একটা পত্রিকার নাম " সংগ্রামী হাতিয়ার"
হাতিয়ারকে হিন্দিতে বলে অওজার জেনেছি তখন।
কলম যে এক শক্ত পোক্ত হাতিয়ার লেখকের,
একথা তো প্রমাণ হয়েছে বহু বার,
মানে সেকথা বেশ আমার মন।
কিন্তু কালো টাকা, কালোবাজারি,
এসব কথা তখনও কানে আসেনি।
তাই তো "কালো হাত ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও"
এই কথা গুলো মাথায় একদম ঢোকেনি।
বরং উল্টে হয়ে পড়তো ভীষন মনখারাপ,
কালো মানুষেরা যে আমার প্রিয়, এটা তো পাপ !
কি এমন অন্যায় তাদের!
গায়ের রঙটা একটু কালো যাদের?
সিবাকা ফ্লোরাইড, বিনাকা ফ্লোরাইড
যুগান্তর বা বর্তমান পড়ে বা ব্যবহার করে
আমজনতা বা কালো মানুষেরা,
কোলগেট ব্যবহার ও আনন্দবাজার পত্রিকা পড়া!
সে তো শুধু মানায় তাদের ঘরে,
বিশাল সম্পত্তির মালিক যারা।
কথাগুলো ভাবলে এখন হাসি পায় বটে,
আমার কাছে এসব কিন্তু মিথ্যে ছিলোনা মোটে।
