গল্পে নায়িকা নেই
গল্পে নায়িকা নেই


গোধূলির শেষ সূর্য ঢলে মাঠের পরে ,
কোনো মেয়ে বুঝি দাঁড়িয়ে ।
এক যুবক তা দেখে কি জানি কী হয়
এগোয় সেদিকে দুইপা বাড়িয়ে ।
যুবক পড়ন্ত আলোয় দেখে যেন
মেয়েটি নগ্না , একলা মাখছে আলো ;
আহা রূপের বন্যা যেন যায় বয়ে
আরে তাকে যে বাসতেই হবে ভালো ।
দ্রুত এগিয়ে যায় বাহুমধ্যে করবে ,
সর্ব কামনা বাসনা দেবে ঢেলে ;
তার রূপভোগ নয় লুটে নেবে দুহাতে
একবার শুধু একবার কাছে পেলে ।
আহ ! একি ? এ কেমন ভ্রম হলো তার ?
এ তো সুস্থিত পোশাকে সজ্জিতা !
আরে এ যে ঝক্কি বড়ো তার জন্য
বরং নগ্নাই ভালো , এ তো পরিবৃতা !
যাক তবু যাবেই সে বাহুবদ্ধ করবে ,
শরীরের উত্তাপ মেটাতে নয় খাটলোই !
পোশাক হাতে সরিয়েই আসল শরীর ,
তার জন্য একটু নয় জোর দিলোই ।
কিন্তু ও কন্যা একঠায় পড়ন্ত আলোয়
কে জানে কিবা করছে ওখানে ?
ওসব ভেবে নেই তার কাজ এখন ,
ওকে পেতে যাবেই সেখানে ।
আরও কিছুদূর এগোতে যুবক
দেখে স্কার্ট পড়ে দাঁড়িয়ে মেয়ে ,
আহ ... ওফফ , একি ধোঁকা ?
যদিও পূর্ণাবৃতার চেয়ে এ ভালো
কারণ শরীরে তার কামনার পোকা ।
প্রায় ১ ঘন্টা হাঁটছে ছেলেটি
তবুও পেলো না ছুঁতে তাকে ,
শুধু দেখে ক্ষণে রূপ রঙ
সে শুধু বদলাতে থাকে ।
বিভ্রান্ত যুবক দিশাহীন এগোয়
খাদের নিকট দাঁড়িয়ে এবার ,
কে এই মেয়ে প্রকট হয়েছে মননে ?
রূপ বদলাচ্ছে কেন সে বারবার ?
এবার তিন নারীমূর্তি দাঁড়িয়ে ,
একজন নগ্না সম্পূর্ণ দেখে ;
একজন শাড়ী পরে পূর্ণ পরিবৃতা ,
আরেকজন স্কার্ট পরে দেখে ।
মাথায় হাত তার , পড়েছে ধাঁধায় ,
কাকে সে ধরবে বাহুমধ্যে ;
গোধূলির আলো আজ এতক্ষণ যে ?
চেহারা চিনতে পারলো তন্মধ্যে ।
আরে এ তো সেই তিনজন ,
গতবছর যাদেরকে সে ...
আর ভাবতে পারছে না কিছু !
এখন কী করবে সে ?
ওদিকে খাদের দিক থেকে
একটি বাচ্চা স্কুল ড্রেসে ...
হা ভগবান ... একেও তো আমি ...
ভগবান জবাব দিলেন শেষে ।
" কে তুই অধম কীট ?
নিলি নাম আমার বিষাক্ত মুখে , "
ক্ষমা করো মোরে তুমি
আঘাত করো তুমি এই বুকে ।
বাচ্চাটির দিকে তবুও সে তাকিয়ে ,
পা তার বাঁধ মানে না ,
পড়লো গভীরের কোলেতে ঝাঁপিয়ে
এ বিষয়ে সমাজ জানে না ।