ঘন্টা
ঘন্টা
বাজলে ছুটির ঘন্টা, খুব একটা খুশি হয়নি মনটা,
আবার বন্ধু-বিচ্ছেদ, আবার একঘেয়ে জীবনটা।
আমার তো পছন্দ ছিল টিফিন পিরিয়ডের ঘন্টাটা !
জানতাম টিফিন যাই খাওয়া হোক না কেন,
খেলা হবে সি-স্য, স্লিপার অথবা রুমাল চুরিটা।
টিফিনের ঐ আধঘন্টা সময় ছিল যে ভীষণ দামী,
শিউলি ফুলের মতোই আনন্দ কুড়োতাম আমি।
তবে সময়টা ছুটতো তখন যেন ভীষন বেগে,
সব সময়েই তাড়া যেন তার চলবে আমার আগে।
স্কুল জীবনে বরাবরই টিফিনের শুরুর ঘন্টাটা ঐ
অকাতরে আমায় আনন্দ দিয়ে এসেছে সদাই।
একটু বড় বেলায় অবশ্য যেন পেয়েছিলাম পাখা,
গেছি স্কুলের পাশের ইটভাটাতে, হয়নি যে দেখা।
সবাই মিলে মন দিয়ে বুঝেছি কি করে বানায় ইট,
আনন্দে ম্যানেজারের ও করছে যে চোখ পিটপিট।
টিফিন শেষের ঘন্টা টা তো একেবারে শুনতে পাইনি,
ঠিক সময় মতো তাই তো স্কুলে পৌঁছাতে পারিনি।
সবকিছু শুনে বুঝে বন্ধুরা সবাই মিলে ফিরে এলাম,
সবাই যেন নিজেদের বুক ঢিবঢিব শুনতে পাচ্ছিলাম।
পুরো একটা ক্লাস যে তখন প্রায় শেষের মুখে,
সবার মুখে বন্ধ কথা, মন পুরে যায় দুঃখে।
বুদ্ধি টা যে আমার ছিল, লজ্জ্বায় তাই মরি,
টিচারদের বকা নাহয় সহ্য করেই নেবো,
মনে ভয়, বন্ধুত্বে না হয়ে যায় আড়ি।
ওমা! কোথায় কি কেউই খুব একটা বকলো না,
আমার ওপর টিচারদের অগাধ বিশ্বাস,
আমি নাকি এমন করতেই পারি না।
নাটের গুরু নাকি অন্য কেউ,
নিশ্চয়ই তাকে আড়ালে ডেকে দিয়েছিলো বকা।
আমার সাথে কথা বন্ধ করলো সে যে একা !
মনের ভয়টাই দেখি সত্য হলো শেষে,
কিছুতেই কথাটা সে করলোনা ফাঁস,
কি জানি ! কাউকে শ্রদ্ধায় অথবা ভালোবেসে।
