দুলদুলি
দুলদুলি
জিজ্ঞেস করলেন, পাশের বাড়ির মেসোমশাই,
কেমন আছো তোমরা সবাই?
"ভালো আছি" কথাটা হয়নি বলা।
ভালো যে নেই সেটাও তো বলা যায় না,
বাধ্য হয়ে বলতে হলো "আছি ঠিকঠাক"।
না, বাড়িতে কারো হয়নি শরীর খারাপ,
শুধু মনটা ভালো লাগছেনা সুমনার।
আড়াইয়া, পিকাই, লেগহর্ন, দুলদুলি,
ওরাও যে এখন সদস্য ওদের বাড়ির।
বাবু ও খুকুর খেলার সাথী ও বলা যায়,
রোজ সকালে ওরা হাফ-বয়েলড ডিম খায়।
ডিম তো বাজারে কিনতে পাওয়া যায়,
কিন্তু বাড়িতেই তা পাওয়া গেলে আনন্দও হয়।
খুকু ওর খেলনাপাটি নিয়ে খেলছে একমনে,
বাবুটা ফেরেনি খেলা থেকে এখনও,
কি জানি, আবার বাটুলের গুলতি দিয়ে,
হঠাৎ কারো কপাল না ফাটায়।
"বাবু ফিরলি? দাঁড়া শোন, একটু খুঁজে দেখ না,
অন্যরা এসেছে কিন্তু দুলদুলি টা ফেরেনি বাসায়" ।
"কি___? আবার___? সেদিন করকনাথের পালক,
জানো? দেখেছিলাম কোথায়_____?
আমি আসছি।"
কথাটা বলেই বাবু ছুট লাগায়।
উদ্ধার যে করতেই হবে দুলদুলি টা কে,
না হলে তো চলে যাবে লোভী মানুষগুলোর পেটে।
খুঁজতে শুরু করে পাশের দুলুদের বাড়ি ঢুকে,
রান্না ঘর, গোয়াল, শোবার ঘর, খাটের তল,
"তোমরা কি কেউ দেখেছো আমাদের দুলদুলি কে?"
একসাথে দু-তিনটে গলা বলে ওঠে, "না দেখিনি তো"।
"দুলদুলি!" "দুলদুলি!" "অই দুলদুলি_______"
হঠাৎ উঠোনের কোনে উল্টো ধামার নীচ থেকে,
একটা ছোট্ট শব্দ শোনা যায় "কক্" !
ধামাটা উল্টে দিতেই, হ্যাঁ, এতো দুলদুলি টাই,
তাকিয়ে আছে কেমন টুলটুল করে।
এ বাড়ির লোকের সাথে আর কোনও কথা নাই!
"মা যে চিন্তা করছে, চল্ আমরা যাই।"