দশটা দশ
দশটা দশ
রাত দশটা দশ হলে শুয়ে পড়াই উচিত বলে মনে হয়,
বেশি রাত জাগা শরীরের পক্ষে মোটেও ভালো নয়।
সময় কি সত্যিই বয়ে যায় নাকি ঘটনা অতীত হয়,
নতুন ঘড়ির কাঁটা তো সদাই দশটা দশ ছুঁয়ে রয়।
হয়তো এতে নতুন ঘড়ির লোগো সহজে দেখা যায়,
অথবা কাঁটা দুটো মিলে বেশ একটা হাসি তৈরী হয়।
হতে পারে দেখে দু হাত তুলে নাচের মোটিভ মনে হয়!
ঘড়ির দোকানের সব ঘড়িতে একই ভঙ্গি দেখা যায়,
সারা পৃথিবীর সব ঘড়ি যেন একযোগে থমকে রয়।
গুড ফ্রাইডেতে আব্রাহাম লিঙ্কন নাটক দেখতে যায়,
মঞ্চে আওয়ার আমেরিকান কাজিনস অভিনিত হয়।
অভিনেতা জন বুথ দর্শকের দিকে হঠাৎ লাফ দেয়।
একেবারে আব্রাহাম লিঙ্কনের ঘাড়ে পিস্তল ঠেকায়,
ঠিক রাত দশটা দশেই প্রেসিডেন্ট খুন হয়ে যায়।
তখনই কি বয়ে যাওয়া সময়টা একটুও অবাক হয়?
থমকে দাঁড়িয়ে আব্রাহাম লিঙ্কনকে বিদায় জানায়!
জানি, সময়ের কখনো কারো জন্যেই থামা সম্ভব নয়,
কালকে কি আর ফন্দি এঁটে বন্দি করে রাখা যায়?
যদি একই বেগে কোনো যান পূব থেকে পশ্চিমে যায়,
সেখানে সকালটা তখন সকাল হয়েই থেকে যায়।
সময়ের সাথে চললে জরাকে এভাবেই হারানো যায়।
কালচক্র ভেঙে মহাকাল আমাদের ম্যাজিক দেখায়!
যযাতির মতো ছেলেকে জরা দিতে কি কেউ চায়?
পৃথিবীতে পুরুর মতো ছেলেই বা মানুষ কোথা পায়!
বাঁচার জন্যে যযাতির মতো এতো লোভ ভালো নয়।
ক্ষতি নেই যাক, যদি সময় নিজের মতোই বয়ে যায় !
যেন রোজ সকালে ঠিক সময়ে ঘুমটা ভেঙে যায়,
তাহলে কি আর ঘড়িতে এ্যলার্ম দেবার দরকার হয় !
নির্বিঘ্নে গভীর ঘুমে রাতটা যেন শান্তিতে কেটে যায়।
