দোষটা কার
দোষটা কার
পড়াশোনায় মেধাবী ছেলে,
বিদেশ গেছে মেধার জোরে।
প্রতিপত্তি অনেক আছে,
চাকুরীটা সে ভালোই করে।
কাজের প্রচুর চাপ রয়েছে,
ব্যস্ত থাকে সারাটি দিন,
দেশের বাড়িতে মা-বাবার
খবর নেয় না অনেকদিন।
বালিশ বিছানা যাচ্ছে ভিজে
বৃদ্ধা মায়ের চোখের জলে;
একটু শান্তি মনের মাঝে,
মাসের খরচ টানছে ছেলে।
সোনার টুকরো শিক্ষিত ছেলে,
বৃদ্ধ বাপের গর্ব বাড়ে,
হাজার কষ্টেও আনন্দ আসে,
পড়ার খরচ বহন কোরে।
দেশে বসেই থাকতো যদি
আমার এমন রত্ন ছেলে,
চাকুরী হয়তো পেতই না
মামা-দাদায় পাইনি বলে।
তার চেয়ে ভালো, কাজের মাঝে
নিজের মতোই নিমগ্ন আছে।
পায়ের নিচে শক্ত মাটি,
সামনে লক্ষ্য নিশ্চই খাঁটি;
শান্তি শুধু এই ভেবে যে
শিক্ষার দাম সঠিক পেলো।
জীবনটাতে ছন্দ এলো।
দুঃখ লাগে যখন লোকে
মেধার কথা শিকেয় রেখে,
উপহাসের ছলে শোনায়
বিদেশ গেছে অর্থের নেশায়;
বাবা মাকে একলা ছেড়ে
বিদেশে গিয়ে ফুর্তি করে।
প্রচুর ডলার উপায় করে,
সামান্য কিছু পাঠায় ঘরে।
মানতে পারিনা কেমন করে
লোকে এমন প্রচার করে।
অর্থ কি আর বাতাসে ওড়ে ?
হাত বাড়িয়েই আনবো পেড়ে।
মনের কলুষ নির্মল করো,
নীচ চরিত্র শুদ্ধ করো।
দেশেই যদি সুযোগ পেতো,
ছেলে কি আমার বিদেশ যেত ?
তোমরা থাকো তোমাদের মতো,
আমরা আছি ভালো,
দুশ্চিন্তা মাথায় রেখে
মন করো না কালো।
