ধন্যবাদ স্যার
ধন্যবাদ স্যার


বলবো কি আর সেসব কথা কী পড়িয়েছিলেন আগে ?
দু চার ঘা বসিয়ে দেবেন পেলেই আগে বাগে
রঙ্গী মশাই ডাকতেন নাক মাথা পেতে বেঞ্চিতে ,
সারা ক্লাস ভর্তি হতো হাসি - ঠাট্টা ওনাকে ভেংচি তে,
বরুণ বাবু বকেন খুব সিলেবাসের বাইরে ,
তাই তার ক্লাসের মত আর কারুর ক্লাসের
মজা ছিলো না আর ভাইরে ,
নগেন দত্ত , বিশাল মত্ত বয়ে আনতেন ব্যাগ ,
কখনো বা গল্পের বই বেরত কখনো ঢাকা দেবার র-এ্যা-ক ,
গল্পের বইতে ভরা নানান গুচ্ছের গল্প ,
ছাত্র দের দিয়ে পড়াতেন অল্প স্বল্প ,
তারপর ধীরে ধীরে চোখ এলে ঢলে ,
কাঁধ যায় ঝুঁকে , টেবিলের কোলে ।
শ্যামলাল বৈরাগী আসতো লেটে,
রাগী প্রচণ্ড হোকনা বেঁটে ।
হাত পেতে নিত সবাই স্কেলের শটাম মার,
পড়া না পারলে নীল ডাউন অথবা গার্জেন কলের ঝার ।
মনে পড়ে এক এক করে প্রণাম করতে গিয়ে ,
দুঃখ - ভালোবাসা সবই থাকে ওদের নিয়ে ।
বড়ো হতে ওরা ছিলো বলেই চলতো বাদ - বিবাদ
শিক্ষক দিবসে হাত জোড় করি
" স্যার ধন্যবাদ "