চরৈবেতি
চরৈবেতি
একদিন এক ভোরবেলাতে ঘুরতে গেছি নদীর ধারে,
মেঘ বালিকা দাঁড়ায় এসে; ছিল কোথাও নদীর পাড়ে ।
আমায় দেখে প্রশ্ন করে ' কে তুই ছেলে, থাকিস কোথা '?
' চরৈবেতি , বলছি তবু বোঝে নাই মেয়ে মাথামোটা ।
সে নয় হোক ; হতেও পারে , আমি যেমন মেঘ বালিকা ,
বেড়াই ভেসে , কেঁদে হেসে , বদনে বেদন কুজ্ঝ্বটিকা ।
যখনই হাসি তখনই কাঁদি, তখনই পালাই ভাসিয়ে দিয়ে,
নেশায় পেশায় তুমি যে কবি ; লিখ না কিছু আমায় নিয়ে ।
আমি যে কবি - কে বলেছে ! নামটি আমার ' চরৈবেতি ' ,
এদিক ওদিক দু'দিক নদীর পাড়ের জমি চাষের ক্ষেতি ।
ফসল ফলাই সরিষা কলাই ধান গম শাক-সব্জি সবি ,
তুমি যে তাদের সঞ্জীবনী ; আমিও তাদের জীবন-রবি ।
মেঘ বালিকা হেসে বলে - তুমি তো আছো ; যাই না কোচি,
স্তব্ধ হল মনের উঠান , তুমি বৌঠান মায়া-সবুজ পর্ণমোচী ।
আমার কথায় ক্ষুব্ধ হয়ে মেঘবালিকা ভাসাল কেঁদে,
ভিজল মাটি, ভাসল নদী হাসল আকাশ বেণীটি বেঁধে।
সব এলোচুল ছিল কালো ; পাক ধরল গোড়াটি থেকে ,
বলল - বিদায় খুশী হলে হায় ,নিও আমায় আবার ডেকে ।
মন-খারাপী বিদায় বেলায় , মন যে আমার গিয়েছে নেতি',
একটাই মিল তাহারি সাথে আমারও নাম যে চরৈবেতি !
এসেছি কখন ভোরের বেলায় , নদীর পাড়ে আঁধার নামে,
তথাপি আমায় চলতে হবেই ; চরৈবেতি কভু কি থামে ?
জীবন মরণ খেলার খেলা ; কখনো হাতি কখনো মশা ,
জীবন ধারার সকল ভেলা ; চরৈবেতি আদ্যন্ত নেইক' দশা ।
