চিন্ময়ী দুর্গা
চিন্ময়ী দুর্গা
মেয়েটা দুর্গা হতে চেয়েছিল।
তাই, জোর করে দিতে চাওয়া বিয়ের আসর
ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিল, পড়াশোনা করবে বলে।
ভাবেনি কখনও, স্কুল থেকে ফেরার পথে
তাকে ছিঁড়ে খাবে সমাজের হায়নার দল...
মেয়েটা দুর্গা হতে চেয়েছিল।
তাই সংবাদপত্রে প্রকাশ করেছিল সত্যিটা।
ভাবেনি কখনও খোয়াতে হবে, ক্যান্সারাক্রান্ত মা
আর অ্যাক্সিডেন্টে পা হারানো স্বামীর চিকিৎসার খরচ চালানোর আয়ের একমাত্র উৎস, সাংবাদিকতার
চাকরিটা...
মেয়েটা দুর্গা হতে চেয়েছিল।
তাই তদন্তের শেষে রাজনৈতিক নেতাকে গ্রেপ্তার
করে, পালন করেছিল পুলিশ অফিসারের দায়িত্ব।
ভাবেনি কখনও, বাকি চাকরিজীবনটা কাটাতে হবে,
জনমানবহীন এক প্রত্যন্ত, নির্জন গ্রামে...
মেয়েটা দুর্গা হতে চেয়েছিল।
তাই অভিনয়ের জগতে নতুন পা রেখে পাওয়া
কুপ্রস্তাবের প্রতিবাদে ,মুখোশধারী লোকটাকে
তুলে ধরেছিল জনসমক্ষে।
ভাবেনি কখনও তারই চরিত্রকে কাঠগড়ায় দাঁড়
করাবে সমাজ...
মৃন্ময়ী দুর্গারা সমাজে যে সমাদর পায়,
চিন্ময়ী দুর্গারা তার কণাভাগও পায় না।
তাই একবিংশ শতাব্দীর সভ্যতার আতিশয্যেও,
চিন্ময়ী দুর্গারা নিঃশব্দে কেঁদে বেড়ায়...