অবাঞ্ছিত
অবাঞ্ছিত
আঙুল দিয়ে ছোঁয়ার চেষ্টা করছিলাম ওদের,
ওরা অতীত সুখের দেহাবশেষ...
ঘুণপোকার সাথে সহবাস করেছিল।
তাই আজ চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে বিলীনের পথে...
ছুঁতে গেলেই মিলিয়ে যাচ্ছে হাওয়ায়।
একটার পর একটা ভাবনার ঢেউ,
আছড়ে পড়ছে মনতটে...
আদৌ কি ওর কোনও অস্তিত্ব ছিল কোনও দিন?...
না কি অস্তিত্ব আছে বলে, মনকে মিথ্যে প্রবোধ দিয়ে,
নিজেকে বঞ্চনাই করে এলাম এতকাল?...
ভাঙা পাঁচিলের গায়ে গজিয়ে ওঠা চারাগাছটা,
মনে অনাবিল সুখ নিয়েই বাড়তে থাকে,
যতক্ষণ না তাকে উপড়ে ফেলে বুঝিয়ে দেওয়া হয়,
যে সে অবাঞ্ছিত ছিল...
বারাঙ্গনার ছেলে যখন মূর্তি গড়ে,
শিল্পীসুখের আতিশয্যে নিজের
সমস্তটা উজাড় করে দেয়।
মোহভঙ্গ হয় যখন দেখে ,মূর্তি পূজা পায় না...
আমিও যতবারই বেলাভূমিতে গড়েছি সুখের প্রাসাদ ,
ততবারই সমুদ্রের ঢেউ, গর্জন করে ভেঙে দিয়ে
বুঝিয়ে দিয়ে গেছে,
ঐ অলীক সুখের কল্পনা, কতটা অবাঞ্ছিত!...
আজ তাই চেষ্টাতেও বড় ভয়!
রক্তবন্যায় তলিয়ে যাচ্ছে , সৃষ্টির নকশাগুলো...
লাভা ঝলসানো মাটির বুকে কি,
অঙ্কুরোদ্গম হয় বলো?...