বসন্তের বাতাস
বসন্তের বাতাস
বসন্ত কাল সবার মত নয়।
বসন্তের সন্ধ্যায় চুপিসারে সূর্য ডুবে যায় ,
পথের দু-ধারে লাল পলাশের মাঝে হাঁটতে-হাঁটতে-
কখন অলক্ষ্যে আকাশের পশ্চিম কোনে সন্ধ্যাতারা ওঠে।
সে বড় একা।
যেন সমস্ত আকাশজুড়ে সে একা।
কত ফুল ফোটে, কত ঝরে যায়,
পুরাতন গাছেরা নতুন পাতায় ভরে ওঠে- কত পাখি গান গায়।
তাহলে বসন্ত কী সব থেকে সুখী এই ধরায় ?
তবে কেন বসন্তের সন্ধ্যায় মৃদুমন্দ বাতাস বয়?
নদীর বুক বেয়ে বয়ে আসে - এক রকম ঝিরি-ঝিরি হাওয়া,কাঁপে গাছের পাতা।
সেই হাওয়ার স্পর্শে ,হৃদয়ে শিহরন জাগে।
উদাস হয়ে ওঠে মন,মনে কি পড়ে কারও কথা?
কেউ কী একা বসে আছে জানালার ধারে!
সেও কী দেখছে আকাশের পানে চেয়ে- সন্ধ্যাতারা?
বসন্তের এই মৃদু বাতাস বড়
খারাপ- বয়ে আনে শরীরে অ- সুখ।
হঠাৎ জ্বর অনুভব হয় কপাল ছুঁয়ে।
বসন্তের সন্ধ্যায় মন পাগল করা বাতাসে বুকের মধ্যে ঝরা পাতার মর্মর ধ্বনি বাজে।
মন ভেসে যায় বিরহী বাঁশির সুরে ।
কেন মনে পড়ে, শুধু তোমার কথা মনে পড়ে

