বন্ধু ভিনদেশী
বন্ধু ভিনদেশী
যদি কখনও মনটা কেমন করে ওঠে তোমার,
আজগুবি সব কথা ভেবে আমার।
পৌঁছে আমি যেতেই পারি কাছে,একটি পাখির বেশে,
জানালা দিয়ে দেবো উঁকি একটু মুচকি হেসে।
জানি আমি, চিনতে তুমি পারবেনা কো মোটে,
একটি পালক রেখে যদি আসি তোমার খাটে ?
দোয়েল হলে গান শোনাবো মিষ্টি মধুর শীষে।
কোন পাখিটা হবো আমি তোমায় ভালোবেসে ?
বুলবুলি, খন্জন অথবা ছোট্ট চড়ুই !
বেনেবৌ, কাঠঠোকরা, মাছরাঙা ?
কিংবা আমি হতেও পারি একটি ডাহুক পাখি!
ঘুম ভাঙাবো তোমার আমি একটু কেশে কেশে।
বুঝেছি, বুঝেছি ! নজর তোমার অনেক বেশি উঁচু,
চাই যে তোমার আরও একটু বেশি কিছু !
ভাবছো বসে আগেকার দিনের কবিতা লেখার কথা,
দোয়াতের কালিতে পায়রা বা বকের পালক দিয়েই
কবিরা লিখে ভরাতো তাদের খাতা।
সেসব কথা ভেবে করোনা তো অযথা মাথাব্যথা ।
কিন্তু আমি যে তোমায় ভালবাসি আরও একটু বেশী,
তুমি কি আমার কৃষ্ণ হবে?
যদি আমি একটি ময়ূর হতে পারি তোমার লাগি !
ঘুম ভেঙে তখন আমায় দেখে, খুলে তোমার আঁখি,
পাবেনা তো একটুও ভয় ? সত্যি করে বলো,
একটা পালক তখন তুমি পেলে, হবেই হবে খুশী ?
তোমার মনটা একটু ভালো করতে
কি আর আমি এমন করতে পারি বলো ?
থাকি যে তোমার থেকে বহু, বহুদূরে,
আমি যে একটি বন্ধু তোমার ভিনদেশী।
তবু তুমি আমার কথা ভেবে উদাস হলে,
আমি যে এভাবেই তোমার কাছে চলে আসি।