প্রথম আলো
প্রথম আলো
আমার স্মৃতিতে রঙটা একটু ফিকে হলে, হতে পারে,
তবু কথাটা আমার বেশ মাঝে মাঝেই মনে পড়ে।
তরুণ অরুণকে আমি প্রথম দেখেছি দিম্মার কপালে।
কিছুটা লাল আভা তাঁর রয় ছড়িয়ে দিম্মার গালে !
রাঙা টুকটুকে মুখে ঝলমলে সেই লাল টিপ সিঁদুরের,
আকারে বড় সে অনেকটাই, আমার মায়ের টিপের।
চাঁপা রঙের সামান্য মেয়ে নয়, সে যে চম্পকপ্রভা !
রাগে, লাজে, কাজে, সকল সময় ছড়ায় যেন আভা।
কোনো আপত্তি নেই, চাঁদমামা এসে টিপ দিয়ে যাক,
রাগী সূয্যিমামা বাপু, আমার দিম্মার কপালেই থাক।
ঊষা কিংবা ঊষসী নাম গুলো দিদাকেই দিয়ে দেবো,
আমি শুধু সূর্য্যের ঐ ভোরের আলোটুকু ই নেবো।
চাঁদমামা সদাই শান্ত শিষ্ট এক ভালোমানুষ লোক,
দুপুর বেলা রেগে যাবেই অরুণ, আসবে নেমে কোপ।
তাইতো আমি তরুণ অরুণকে আজো ছুঁতে ভয় পাই,
একটু বেশী রোদে থাকলেই যেন একদম পুড়ে যাই।
একেই কালো চামড়া, তার ওপরে যদি লাগে তাপ,
কান, মাথা করে ভোঁ ভোঁ, যেন বেরোয় গরম ভাপ।
ওনার স্ত্রী সংজ্ঞাও সূর্যের তেজ সহ্য করতে পারেনি ,
ছায়া হয়ে থেকেছে, ভালোবেসেও কি সঙ্গ ছাড়েনি !
সবদিন, সবসময় যেন ভোর উত্তর মেরুতে তাই,
সূর্য্য সেখানে অরোরা হয়ে ভালোবাসার রঙ ছড়ায়।
আমার দিম্মা চাঁদ, সূর্য্য, দুজনকেই ভালোবাসে,
আমার মুখের মামা ডাক শুনে ওরা সকলেই হাসে।
চাঁদনী রাতে দিম্মা আমায় ভূতের গল্প যেমন শোনায়,
রোদ উঠলে উঠানে ধান, ডাল, লঙ্কা, ও কুল শুকায়।
ভোরের রোদের নরম আদর, দূর থেকে লাগে ভালো,
আলো ধার নিয়ে চাঁদের মতোই ছড়াতে চাই আলো।