বিষের শিশি আমার সমাধির উপরে
বিষের শিশি আমার সমাধির উপরে
আমি প্রতি রাত্রিরে বিষ পান করি
ভূতের দেশে অন্ধকার গলিতে -
নীল প্রান্তরে ঘাসের শুকনো পাতা পেতে
ঘুমিয়ে পড়ি চোখের অঢেল কল্পনাতে।
আমার চোখে ভিজেছে ক্লান্তির শোক
জনতার মিছিল আজো আমায় লক্ষ্য করে
সবুজ গাছের পাতা হলুদ হ'লে
বিষ পানে কোনো ক্ষতি ছিল না
আমার সমাধির প্রাচীরে.....
সব কথা ফুরালো না এই শহরের পথে
তবু একদিন সব শেষ হয়ে যাবে
হাজার হাজার মানুষের ভিড়ে।
আমি ইউক্রেনের এক অসহায় সৈনিক
খামহীন চিঠি পাঠাবো কোন ডাকবাক্সে ?
নিজের শরীরের শিরায় ব্লেড চালিয়ে
নীল ডায়েরি কি ভিজবে মানুষের চোখে ?
না ! কখনোই না !!
আমি নিজের ঘরের কাঠ জ্বালিয়ে
উঠতে কি পারি অন্যের ঘরের সিঁড়ি বেয়ে !!
ঠিক ডাস্টবিনের সব পঁচা খাদ্য প্রাচীন বৃক্ষের নীচে।
আমি একদিন মানুষ ছিলাম
তবে এখন আমি মানুষ নই ?
পৃথিবীর বিচিত্র মানচিত্র
একদিন সবই বৃথা হবে
ভালো চোখে অন্ধের চশমা সাজিয়ে দিলে।
একদিন বাড়ন্ত শহরের দেওয়াল সব খসে পড়বে
আমার সমাধির পাশ দিয়ে
মানুষের ইতিহাস বদলে গেলে
সূর্য কি কখনো দু'টো হবে ??
ধুলো জমে গেছে আমার কবিতার পাতায়
কিন্তু একদিন এই কবিতায় সব জীবন্ত হবে
মানুষের পায়ের নিচের মাটি সরে গেলে ;
সবুজ ঘাসও একদিন খুব দীর্ঘ হবে
অতীত লাশের কঙ্কালের জীর্ণ হাড়ে হাড়ে।।