বই প্রিয়
বই প্রিয়
বইপ্রিয় কথাটা সত্যি হলেও প্রিয় বই মনে করা,
এর চেয়ে সোজা, খড়ের গাদায় সুঁচ খুঁজে বের করা।
যা পড়ি সব যদি মনে রাখতে পারি,
পাগোল হতে থাকবে কি আর কিছুই বাকি।
এমনিতেই তো কিছুটা ডিমেনশিয়ায় ভুগে যেন রুগী।
গত পরশু বাঁধাকপির ঘন্ট রান্নার ফাঁকে,
চায়ের জন্যে আবদার এসে গেলে বসি আমি বেঁকে।
বেশীরভাগ সময়ের মতোই আমার অবাধ্য হাত দুটো,
চায়ের প্যানে জল বসায়, টগবগ করে জল ফোটে।
চা পাতা কিছুটা পাশের কড়াইয়ে চলে যায়,
ওদের তো গরম জলে পড়ার কথা ছিল হায়!
একমনে রান্না করি আমি, নেই কোনো জুটি,
মেন্টাল ডিস্টার্ব করায় একটু ফুঁসে উঠি।
পরক্ষণেই একদম শান্ত, মনে পড়ে যায়,
আজকাল চা পাতাও ব্যবহার হয় হাই ফাই রান্নায়।
মিটি মিটি হাসি, খেতে খারাপ হবেনা, দেখো চেখে !
খাবার পাতে বসে বুঝি সত্যিই খারাপ হয়নি,
ভাগ্যিস অল্প চা পাতা পড়েছিলো ঘন্টতে,
বেশী পড়ে গেলে, কি জানি দিতে হতো কি না ফেলে!
যেখানেই যেতাম সময় পেলেই বই থাকতো কোলে,
এমনকি সেই সময়েও, যখন ছেলে পরীক্ষার হলে।
কতো ঠাট্টাই না সয়েছি, তবু কি পড়া ছেড়েছি?
কিন্তু আজ, সময়ের বড়ই অভাব, সত্যিই পাই লাজ।
কাজের ফাঁকে লাইব্রেরিতে বই পাল্টাতে হবে যেতে,
কোথাও বেরোনোর আগে ভুলে যাই সাথে বই নিতে।
বইদের মাঝখান থেকে প্রিয় বই কোনটা
খুঁজে বের করা? আমার কম্ম নয় সেটা।
আজকাল প্রিয় যতো কাগজের বই বোধহয় কাঁদে,
বুঝে গেছে, পড়েছি ইলেকট্রনিক ডিভাইসের ফাঁদে।