রাজামশায়ের রাগ কমে না
রাজামশায়ের রাগ কমে না
রাজামশাই আজ ভীষণ রেগে, চোখ লালে লাল,
সভাসদরা সব ভয়ে ভয়ে পরিস্থিতি দিচ্ছে সামাল।
রাজামশাই এর রাগ কমে না, কমে না কিছুতেই,
সাত সাতটা রাত গেলো হাসির দেখা নেই।
এসব দেখে মন্ত্রীমশাই ভাবলেন খুব করে,
ভেবে ভেবে ডাক পাঠালেন রাজবদ্যির ঘরে।
রাজবদ্যি তখন ম্যাসেঞ্জারে চ্যাটিং করছিলেন,
ডাক শুনে ছুটতে ছুটতে হেঁটেই চলে এলেন।
মন্ত্রী মশাই বললেন ডেকে, শুনুন বদ্যি মশাই,
সাত দিন ধরে রেগেই আছেন মোদের রাজামশাই।
কী করা যায় বলুন দেখি, ভেবে ভেবে বলুন,
রাজামশাই এর এতো রাগের রহস্যটা খুলুন।
বদ্যি মশাই হেসে বললেন, এতো খুবই সোজা,
ভাঁড় মশাই তো হাসায় না আর, করে না আর মজা।
মন্ত্রী মশাই ভীষণ রেগে ডাক পাঠালেন ভাঁড়কে,
ভাঁড় তখন সেলফি তুলে পোস্ট করছেন ফেসবুকে।
ডাক শুনে চমকে গিয়ে পোস্ট ডিলিট করে দিলেন,
ছুটতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে দৌড়ে চলে এলেন।
মন্ত্রীর প্রশ্ন শুনে ভাঁড় মশাই হাসলেন খুব করে,
বললেন, ফেসবুক করলে রাজার রাগ যাবেই কবে উড়ে।
মন্ত্রী মশাই ধমক দিলেন, রাজা যদি সময় দেন ফেসবুকে!
দেশ জুড়ে তখন অরাজকতার হাল ধরবে কে?
এরপরে ভেবে চিন্তে ডাকলেন সকল সভাসদকে,
জানতে চাইলেন কিভাবে খুশি করা যায় মোদের রাজাকে?
কেউ বলে ইনস্টা খুলুক, কেউ বা বলে ফেসবুক,
কেউ বলে টিক টক আর ইউ টিউবে মজার ভিডিও দেখুক।
মন্ত্রী মশাই রেগে গেলেন, হতাশ হলেন খুব,
সব শেষে রানীর কাছে গেলেন হয়ে চুপ।
গিয়ে দেখেন রানীও শেষে ফোন হাতে নিয়ে,
হোয়াটসঅ্যাপের ভিডিও কলে ব্যস্ত ছাদে গিয়ে।
আর রাজামশাই দূরেতে দাঁড়িয়ে চুপটি করে,
ভারাক্রান্ত মন নিয়ে তাকিয়ে আছেন দূরে নদীর পাড়ে।
