বৈশাখী আবাহন
বৈশাখী আবাহন


শুষ্ক জীর্ণ ঝরা পাতা সব বৈশাখী ঝড়ে ধায়
চৈত্রস্মৃতির বেদনাসিক্ত দিনলিপি মেখে গায় স্মৃতিগুলো
আজ বড় বেপরোয়া,ঘন শ্বাস ফেলে বুকে,
পায়চারি করে বোশেখবেলার নিকোনো উঠোনে সুখে,
নিতে চায় ওরা নতুন জন্ম,পুণ্য বৃষ্টিধারায়,
ধূসর পান্ডুলিপিরা নতুন স্বরলিপি খুঁজে বেড়ায়...
অক্ষরজন্মের দায় যে শুধুই একলা মুখ লুকায়,
আঁকাবাঁকা পথ উপেক্ষা করে সমান্তরালে যায়...
সেই আখরের একদিকে তুমি,অন্যতে রই আমি,
নমনীয়তার দিন শেষ আজ,বেঁকে যাওয়া পাগলামি..
নদীর কুল যে চিরকালই সেই পাগলামি করে যায়,
অন্য দিকেতে যতই এগোয়,
বিপরীত ভেঙে যায়... মধ্যিখানেতে আখরছাপানো ঢেউ জেগে রয় শুধু,
বোশেখের এই নিদাঘে,মন যে বড়ই করে ধূ ধূ
তবু মাঝে মাঝে সাধ হয় বড়,জ্যামিতিক জাল ছিঁড়ে,
একটু বেঁকি,একটু হেলি,একটু বা নুয়ে পড়ে
এই বোশেখে,মন চায় হোক,নতুনের উদযাপন,
পুরনো আখর সরিয়ে দিয়ে হোক নতুনের বপন.