অধিকারের বিদ্রোহে
অধিকারের বিদ্রোহে


হতেম যদি নজরুল, এই যুগেতে থেকে,
লিখতেম আমি কবিতা, নিজেকে সুুুস্থ রেখে।
পরাধীনতা ছিল সে যুগে, মানবেরও দাপটে,
এ যুগেতে পরাধীন,রোগের ছল কপটে।
ভাবছি না আমি নিজের কথা, পরিস্থিতির তালে,
করনা এসে কাঁপালো বিশ্ব,তাহার বাহুবলে।
হলেম আমি বিদ্রোহী কবি, নিজের গৃহে বসে,
হঠাৎ সেই কৃষক ব্যাক্তি, পড়ল যে কার রোষে।
মাথা ঘুুরিয়ে লুটিয়ে পড়ে, মাটির ওপর শুয়ে,
দেখলো অনেকে করলোনা কিছুু,হাঁঁটল ভয়েভয়ে
গেলাম দেখিতে বাইরে , আওয়াজ পেলাম কার,
বলে উনি থাম নজরুল, করনা হয়েছে তার।
কারোর কথা না শুনিয়া, তুলিয়া কোলে তাকে,
চোখের জল মুছিয়া মুছিয়া,ক
ৃষক বলিতে থাকে।
বললে কৃৃৃষক কাঁদিয়া কাঁঁদিয়া,খাই নাই বহুদিন,
দেখিলাম তাহার দূর্বলতা, চেহারা তাহার ক্ষীন।
বউটা মরিল আগের বছর,হারাল এখন ছেলে,
কোথায় গেলি ওরে ছোটুরে,কত যে দূরে চলে।
কেনহে কাকা ছোটুটা তোমার,কোথায় চলে গেল
বাপের এই দরিদ্রতা, দেখিতে নাহি পেল।
হঠাৎ ভীষণ কাঁঁদিয়া কাঁঁদিয়া,জরিয়ে আমায় ধরে
ছোটু যে আমার ছোট্ট ছেলে,গেল যে ক্ষুধায় মরে
ভিজিল চক্ষু অশ্রু দ্বারা,গল্পে মগ্ন হয়ে,
হঠাৎ আমার ঘুম ভাঙিল,খাটের ওপর শুয়ে।
চেঁঁচিয়া বলি চাইনা স্বরাজ,হবে কি আজ তাতে,
অধিকার শুধু এটুকু মোদের,থাকি যে নুনেভাতে।