আমি
আমি
এলোমেলো করে দে ভাই
লুটেপুটে খাই।
দুচারটেকে পিষে মারি -
ভোটের বালাই।
পুলিশ লেলিয়ে মারব
নচেৎ পাঠাব জল্লাদ।
আমার গুণ না গাইলেই
করব বরবাদ।
মানবাধিকার লঙ্ঘনটা
এ রাজ্যে নিয়ম।
কিনে ফেলেছি প্রতিবাদের
পোশাকী সংগঠন।
বুদ্ধিজীবীদের বলে দিয়েছি,
করলে প্রতিবাদ
পুরব জেলে নতুবা দেব
মূলস্রোত থেকে বাদ।
এভাবেই কাটিয়ে দিলাম
প্রায় দশটি বছর।
আবার আসব, স্বপ্ন দেখি,
নিয়ে তামাশার বহর।
দারিদ্র আর বেকার নিয়ে
মথাব্যথা নেই আমার।
ভাষণের শেষে ভাবি শুধু
আসব ফিরে আবার।
ক্লাবে ক্লাবে টাকা ঢালি
চাকরি লাটে তুলে।
বিজ্ঞাপনে নিজের ছবি
দেখি সব ভুলে।
করদাতার পকেট কাটি।
ভাষণে সমাধান।
নেতাদের শিখিয়ে দিলেম,
'দিয়ে থুয়ে খান।'
এভাবেই চলছে রাজ্য
চলছে অভিযান।
ভোট হবে বোমার শব্দে,
ছাপ্পা সটান।
বলব মুখে উন্নয়ন আর
কষব অঙ্ক ভোটের।
জিততে পারলেই পাঁচ বছর
সময় পাব লুটের।
এত ফন্দি আঁটার পরেও
বুঝি না কেন হায়
কিছু বেয়াদপ গলা ফাটিয়ে
সমানে চ্যাঁচায়।
গেল গেল রব তোলে।
পায় না কোন ভয়।
বলে বেড়ায় একটি
প্রাণও ফ্যালনা নয়।
আটকে দিলাম অতিবাম।
সুশীল পেল ভয়।
তবু দেখি আমার পথে
কিছু কাঁটা রয়।
বছর ঘুরতে নির্বাচন।
একটুতো ভয় হয়।
জনগন যদি ভুল করে আর
ছাপ্পাটা না সয়।