আমাদের বাড়ি
আমাদের বাড়ি
সারা শহরে ইঁটের আশ্চর্য মহিমা
চওড়া রাস্তার পাশে সরু গলি
গলির ভেতর কানাগলি, খোঁড়াগলি
দুপাশে হিজিবিজি বাড়ি।
এ বাড়ির দেয়াল হেলে পড়েছে ও বাড়ির দিকে
ও বাড়িতে কথা হলে এ বাড়ির ঘুম ভেঙে যায়।
সেই খোঁড়াগলির মধ্যে সুপারবিল্ট ছশো বারো স্কোয়ার ফুট
আমাদের বাড়ি।
ঠিক বাড়ি নয়, একটা বাড়ির মধ্যে ইঁটের সীমানা দেওয়া
আমাদের অধিকার।
তারই দক্ষিণ পশ্চিমে একটা লজ্জিত জানলা দিয়ে
দুপুর একটার রাগী রোদ্দুর আসে
আর পুবের দুফুট বাই দুফুটের
এক চামচ ঝুল বারান্দা বসে
সন্ধেবেলায় চাঁদের সাথে চা পান করি।
হাঁটুতে শুশ্রুষাহীন ব্যথা, তবু যাই
অর্ধগোলক আকাশের নীচে শুয়ে থাকা অনাথ ছাদে।
অন্ধকার সাগরের ওপর যে মুঠো মুঠো নক্ষত্র ছড়ায়,
হলুদ মমতা ছড়ায় বুড়ো চাঁদের পাশে
তাকে আমি ঠিক চিনিনা, তবুও
নিরুদ্দেশে কথা বলি
এরপর আমাকে একটা ধান ক্ষেত দিও
আমি চাষি হব,
অথবা আকাশ দিও, আমি পাখি হবো।
***