আগামীর নব কিশলয়ের আশায়
আগামীর নব কিশলয়ের আশায়
সবেমাত্র কুয়াশার আঁচল ভেদ করে,
ম্রিয়মান অরুণের জলছবি ভেসে উঠে—
সাগরের তরঙ্গ দোলায় দোদুল দুল৷
শীতের পরিবর্তিত হাওয়ার দাপটে ঝাঁউয়ের বন বেসুরো মাতাল৷
পাখপাখালি, শঙ্খচিল আর হকারের হাঁকডাক
ঝিঁঝিঁ পোকার মতোই ক্রন্দন রত বেলাভূমি পরে৷
নিত্য যে ক্ষুধার অন্ন চাই,তাই দু'চোখে আঁধার৷
কখনও পেট ভরে না মিঠে কথা আর স্তোকে,
তাই গৃধিনীর মতোই চেয়ে থাকা সুদুর থেকে৷
সময় পুড়িয়ে যায় মনটাকে শ্যাকরার বাগনলের মতো—
তবুও সে এখনো খাঁটি সোনা হতে পারলো না৷
একরাশ খেদোক্তি নিয়ে বসে থাকা জীবন খাদের পানে চেয়ে,
শুধু অপেক্ষা—কখন সে মুক্তির আশায় গড়িয়ে পড়ে ঝরণার মতো৷
আর তার গড়িয়ে পড়া জলতরঙ্গ থেকে শুধু অনুরণন উঠবে নবনবীনের গান তেমনি আগের মতো অবিরত৷
পাখি যেমন চঞ্চু দিয়ে পালক ঝরায়৷
এ শীতের লগনে তেমনি আমলকি গাছে শূন্য হবে পাতা৷
শুধু ডালপালার কঙ্কাল নিয়ে বেঁচে থাকবে সে আগামীর নব কিশলয়ের আশায়৷
