টিয়া
টিয়া
"বৌদিমনি আই গেছিগো,কি করবো বোলো ,টেরেন না চইলে খুব চাপ ",
"ও,মালতি এসে গেছিস, যা গিয়ে মেয়েটাকে খাবারটা দিয়ে আয়ে"
নাক টেনে মালতি বললো ,"নতুন সেন্ট মেখেছো নাকি হেব্বি গন্ধ ছাড়ছে "
"ঘরে সেন্ট মেখে বসে থাকবো নাকি রে পাগলী,ওটা স্যানিটাইজার কাজ করার আগে তুইও হাতে মেখেনে।'
হাতধুয়ে মুড়ি মেখে বারান্দায় বসা রিংকিকে দিয়ে বাসন মাজতে চলে গেলো মালতি।
বারান্দায় তখন ঘন্টাখানেক সঙ্গে রিঙ্কির আলোচনা সভা বসেছে ,রিঙ্কি তখন চড়ুই পাখিদের বকাবকি করছে "মা কিন্তু তোদের উপর খুব রেগে আছে খালি তোরা বারান্দা নোংরা করছিস ,যা নোংরা করার বাইরে গিয়ে করবি "
"কি করবো দিদি,চারিদিকে এতগুলো টেলিফোনের টাওয়ার বেরোলেই শরীর খারাপ লাগে"
আচ্ছা ঠিক আছে এই নে মুড়িখা বলে কয়েকটামুড়ি ছুড়েদিলো।
পাশের বাড়ির বারন্দায় খাঁচায় রাখা টিয়া পাখির দিকে তাকিয়ে বললো "কি বাবু আজকে কোনো কথা নেই অন্য সময়ে তো চিৎকার করে বিরক্ত করিস"
টিয়া বলে উঠলো ,"সরি আঁই ওয়াস স্পিকিং ইন মিউট ,আঁম আই অডিবেল নাউ?
"আবার রাজাদা কে নকল,মার্ খাবি এবার"
এমন সময়ে দুটো শালিক পাখি ঝগড়া করছিলো ,একজন উড়ে পালাতে গিয়ে কাচের জানালে জোর ধাক্কা খেলো
এই কি হলো, খুব লেগেছে না তোর ,কাঁদতে কাঁদতে ডাক দিলো "মাআআআ "
সুচিত্রাদেবী মেয়ের চিৎকার শুনে দৌড়ে এলেন,দেখলেন চারিদিকে মুড়ি ছড়ানো মাঝে হুইল চেয়ার থেকে মেঝেতে পরে কাঁদছে তাঁর "স্পেইশাল চাইল্ড" ,অনেক কিছু বলতে বলতে চাইছে তাও বরাবরের মতন গলা দিয়ে শুধু কয়েকটা অস্পষ্ট শব্দ, হাতে তখনো ধরা সেই পাখি।
এতদিনের বিশ্বাস তাঁর এখন সফল,আনন্দশ্রু তে জড়িয়ে ধরলেন মেয়েকে প্রথম বার "মা" শব্দ শুনে।