THE NAKED WOMEN ON THE ROAD
THE NAKED WOMEN ON THE ROAD
THE NAKED WOMEN ON THE ROAD
রাস্তাটা বিহার যাবার পথে পড়ে।একটা মধ্যম মানের অভয়ারণ্য। গাড়িতে পার হতে আধাঘন্টা খানেক সময় লাগে। আগে তেমন সমস্যা ছিলোনা ঐ রাস্তাটা নায়ে। তবে বছর তিনেক ধরে এক চরম সমস্যার মখমুখি হয়েছে বহু মানুষ তাই এখন সন্ধা নাবলেই ঐ রাস্তাদিয়ে আর গাড়িঘরা মানুষজন কেউই চলেনা। যারা দেখেছে তারা বলে ওখানে নাকি ভূতের উপদ্রপ। একটু রাত বাড়লেই একটি মেয়ে নগ্নপ্রায় অবস্থাতে রাস্তার মাঝখানে বসে থাকে, কেউ কউ আবার তার কাতর কন্ঠস্বর শুনেছে কিন্তু আজ পর্যন্ত সে কাউকে মারেনি। বিষয়টি কেমন যেন খটকা ধরালো প্যারানরমাল প্রফেসর সুদীপ্ত বাসুর মনে যদি এটা ভৌতিক বিষয় হতো তাহলে যারা ওর মুখ মুখি হয়েছে তারা বেঁচে ফিরলো কি করে?
বছর দুয়েক আগে পরপর গোটা চারেক ঘটনা ঘটেছিল এমন তার পেপার কাটিংগুলো যত্ন করে রাখাছিলো সুদীপ্ত বাবুর ফাইলে। বিষয়টি সুদীপ্ত বাবুর নিকট বেশ ইন্ট্রেসটিং বলেই মনে হচ্ছিলো। দুই বছর পর গতসপ্তাহেই সেম একটা ঘটনা ঘটেছে। এক নবদম্পতি বুঝতে না পেরে সেই রাস্তায় ঢুকে পড়ে। পুরাতন কেশ গুলোকেও লক্ষ করে দেখা যায় কোন আক্রমন বা ছিন্তায়ের ইতিহাস তাতে নেই। মেয়েটি ওখানে বসে কাঁদে কেউ তাকে দেখতে পেয়ে তাকে ডাকদিলে যেই মেয়েটি তাদের দিকে তাকায় সাথে সাথেই কেমন যেন তারা অচেতন হয়ে পড়তো। যখন ঞ্জান ফিরতো তখন দেখতো রাস্তার এক পাশে পড়ে রয়েছে তারা। কিন্তু মজার বিষয় তাদের কিছুই খোয়া যায়নি। না অর্থ না প্রান সুদীপ্ত তাদের সাথে কথা বলে খুব ভালোভাবেই বুঝতে পারে এখানে বিষয়টা অন্য ধরনের, একটা প্যারনরমাল অ্যাটিভিটি ক্রিয়েট করা হচ্ছে মাত্র, আসল গল্পটা অন্য জিয়গায়।
সুদীপ্ত নবদম্পতির একজন অর্থাৎ ভদ্রলোকটিকে নিয়ে উপস্থিত হয় সেখানে যদিও রাতে নয় তখন রাস্তা উন্মুক্ত। নরমাল ভাবেই গাড়িঘোড়া চলছে আসলে সুদীপ্তর মূল লক্ষছিলো পজিশনটা দেখা। জঙ্গলের পথে বেশ কিছুটা এগোতেই লোকটি বলে দাদা এখানটায় এখানেই থামান। গাড়িটা সাইট করে দাঁড় করুনো হয় লোকটি রাস্তার মাঝখানে আঙুল দেখিয়ে বলে ঠিক এই জায়গাটাতে ছিলো মেয়েটি আর ঐটুকু জায়গাতেই ছিলো নীল আল আলো।
সুদীপ্তর গাড়িটা একদম আলাদা ভাবে তৈরি করা গাড়ির বাইরের অংশে প্রায় গোটা বিশেক ক্যামেরা ফিট করা আছে। সবকটাকে একসাথে মুভ করাতে পারে সুদীপ্ত ওর সাথে কথা বলতে বলতে সমগ্র এরিয়ার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে নিলো সে তারপর তারা ফিরে এলো জঙ্গলের বাইরের একটা হোটেলে। সুদীপ্ত ছেলেটিকে বললো কি রাতে ভূত ধরবার ইচ্ছে আছে না বাড়ি ফিরে যাবে? ছেলেটি উত্তেজিত হয়ে বলল আপনি ঐ ভূতটাকে ধরবেন? সুদীপ্ত খুব ক্যাজুয়ালি বলল হ্যাঁ ধরবো। ছেলেটি বলল ওকে ঠিকআছে আমিও তাহলে আপনার সাথে ভূতনিয়েই ফিরবো। একটু হেসে সুদীপ্ত বলল ঠিক আছে বাড়িতে একটা খবর দিয়ে দাও আর এখন তুমি একটু আরাম করে নাও কেমন।
রাত তখন প্রায় এগারোটা সুদীপ্তবাবু বললেন তুমি রেডি? ছেলেটি সন্মতি জানালো সকালের মতো সাদামাটা ভাবেই রওনা হলাম আমরা। ছেলেটি ভাবলো খালি হাতে ভূত ধরাযায় নাকি কিজানি সুদীপ্তদা আবার কোন সমস্যার মুখমুখি নিয়েযেতে চলেছে। সুদীপ্ত যেন তার মনের কথা বুঝতে পারলো। কি ভয় লাগছে খালিহাতে ভূত ধরতে যাচ্ছি বলে? আরে বাবা ওটাতো ভূত অস্ত্রদিয়ে ওকে কিছুই করা যাবেনা বুদ্ধি দিয়ে ধরতে হবে। ছেলেটি বলে বুদ্ধি দিয়ে? সুদীপ্ত বলে চলনা গেলেই বুঝতে পারবে ভূত কিভাবে ধরতে হয়। সে আর কোন কথা বাড়ালোনা গাড়িতে উঠে বসলো সুদীপ্ত ড্রাইভিং করছে ছেলেটিকে পিছনে বসতে দেয়েছে হাতে একটা রিমোর্ট দিয়ে কি করতে হবে বোঝিয়ে দিয়ছে তাকে।
সুদীপ্তদা পাকা খিলাড়ি একদম ভূতের সামনে গিয়েই গাড়ির ব্রেক করলো। মেয়েটি ফুঁফিয়ে ফুঁফিয়ে কাঁদছে সুদীপ্তদা গাড়ি থেকে নেবে তার সামনে গেল। খুব মনদিয়ে কান্নার শব্দটা লক্ষকরলো সে বুঝতে পারল শব্দটা ওখান থেকে আসছেনা কিছুটা দূরথেকে আসছে। যাইহোক একদম ন্যাচেরল অভিনয় করে গেল সুদীপ্ত দা। মেয়েটির একটু কাছে গিয়ে বলল কি হয়েছে আপনার কাঁদছেন কেন? কোন সমস্যা থাকলে আমাকে বলুন আমি চেষ্টা করবো আপনাকে সাহায্য করতে। যথারীতি মুখটা তুলে তাকালো মেয়েটি, চোখদুটো জ্বলজ্বল করছে সুদীপ্ত দা আগেথেকে কানে একটা হেডফোন গুঁজে রেখেছিলেন, উনি জানতেন ঐ কান্নার শব্দের মধ্যেই কিছু একটা খেলা রয়েছে ছেলেটি গাড়িতে বসে সবটাই দেখছে সুদীপ্ত দার কথা মতো রিমোর্টটা টিপে দায়েছে সে।
কিছুক্ষন পর সুদীপ্ত দা ঞ্জান হারাবার একটা সূন্দর অভিনয় করতে লাগলো। মেয়েটি পুনরায় মাথাগুঁজে বসে পড়লো। কয়েকমিনিট পর জঙ্গল থেকে কয়েকটি হিস্টপুষ্ট লোক বেড়িয়ে এলো, সুদীপ্ত দাকে চ্যাঙদোলা করে রাস্তার পাশে শুয়ে দিলো তারা। সুদীপ্তদা যে আগের থেকে থানায় ইনফরমেশন করেই এসেছিলেন সেটা বুঝতে পারেনি ছলেটি, সুদীপ্ত দাকে পাশে শুয়ে রেখ পালাতে যাবে এমন সময় চারধার দিয়ে পুলিশ তাদের ঘিরে ফেললো ধরা হলো তাদের। একজন একটা গাছের মাথা থেকে একটা প্রযেক্টর মেশিন নামিয়ে নিয়ে এলো। ততক্ষণে সুদীপ্ত দা চাঙ্গা হয়ে উঠেছে ছেলেটিও নেবে এসেছে গাড়িথেকে। একটা পুলিশের জিপ এসে দাঁড়ায় ওদের তুলে দেওয়া হয় তাতে। সুদীপ্তদা অফিসার কে বলেন আসল খেলা এবার শুরু হবে যারা জালে পড়েছে তারা সবাই চুনপুঁটি আসল অপরাধীরা কিছু সময়ের মধ্যেই আসবে আমাদের আর কিছুক্ষন অপেক্ষা করতে হবে.................।
🙏 আবার দেখা হবে 🙏