সোনালি দিনগুলি
সোনালি দিনগুলি
স্কুল, প্রত্যেকটা মানুষের জীবনেই একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়, যেখানে কাটানো মুহুর্ত গুলি একটি সময় সবার জীবনেই স্মৃতি হয়ে থেকে যায়।
আমার মনে পড়ে প্রথম যেদিন স্কুলে গিয়েছিলাম, বাবা আমাকে নিয়ে গিয়েছিল আমি তো সে কি কান্না বাবার আঙুল শক্ত করে ধরে রেখেছিলাম, না যেন স্কুল টা কি জিনিস আমি তো খুব ভয় পেয়েছিলাম যে সারাটা দিন একা একা থাকবো কি করে।
সেই কান্নাই আবার কেঁদেছিলাম যখন স্কুলের শেষদিন ছিল। খুব মনে পড়ে আমার সব বান্ধবীরাও খুব কেঁদেছিল সে এক অন্য অনুভূতি।
প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক স্নাতক স্নাতকোত্তর শিক্ষার তো অনেক ধাপই পার করে এসেছি কিন্তু স্কুল জীবনের কাটানো সময় গুলি আজও মনে করলে আনন্দে চোখ ভরে আসে। মনে হয় যেন আবারও যদি ফিরে যাওয়া যেত সেই সময়ে। সেই কলে মুখ জল খাওয়া আর স্কুল ড্রেস ভিজিয়ে ফেলা দিদিমণি বকা দেওয়ার সময় মাথা নীচু করে দাঁড়িয়ে থাকা আর দিদিমণির প্রস্থান হতেই সে কি হাসা হাসি আর মজা হোত। ক্লাসে বেশি কথা বললে ক্লাস ক্যাপ্টেন নাম লিখে রাখতো আর দিদিমণি এলেই সেই নাম জমা পড়তো আর সব্বাইকে ডেকে পড়া ধরতো। আর টিফিন পিরিয়ডে..? সে কি আর বলার বিষয় আমাদের ২০ জনের একটা গ্রুপ ছিল টিফিন খাওয়ার সময়। আমার মনে পড়ে ডান দিক থেকে শুরু করতাম সবাইকে টিফিন দেওয়া আর যখন সব্বাই কে দেওয়া শেষ হোত তখন দেখতাম আমি যেটা নিয়ে যেতাম টিফিনে সেটা শেষ। আবার বা দিক থেকে সবাই সবার টিফিন এক চামচ করে আমাকে দিয়ে দিত আমার টিফিন বক্স আবার ভরে যেত তখন সব শেষে দেখতাম সবারই নিজের টিফিনের জায়গায় অন্যদের আনা টিফিনেই বক্স ভরে যেত।
সেও এক মজার ব্যপার ছিল।
স্কুলের বার্ষিক অনুষ্ঠান, স্পোর্টস সবেতেই খুব সুন্দর মুহুর্ত কাটতো সে সময়।
ফার্স্ট বেঞ্চে বসা নিয়ে সে কি ঝগড়া হোত আমাদের মধ্যে। আরও অনেক ঘটনা পড়ে স্কুল জীবনের যা এখন শুধুই অতীত। হাজার চেষ্টা করলেও সেই সোনালি দিন গুলি আর পাব না ফেরৎ ।