শাপে বর
শাপে বর
দুজনার মাঝে বিছানার দুরত্ব মাত্র দুহাত হলেও মনের দুরত্বটা সীমাহীন। তবুও জীবনতো থেমে থাকে না। জীবন কেটে যাচ্ছে জীবনের নিয়মে। চাকরী, সংসারের দায় দায়িত্বের চক্রে পার হয়ে যাওয়ার মাঝে নিজেদের হারিয়ে ফেলা মানুষদুটো যখন বাধ্য হয়ে গৃহবন্দী হলো পৃথিবীর এই ক্রান্তিকালে তাদের জন্য যেন শাপে বর হলো। না চাইলেও দুটো মানুষতো ঘরে বসে কথা না বলে থাকতে পারে না। ভোরবেলায় যখন অর্ক চা বানিয়ে তাকেও এককাপ দিলো বহুদিনের অনভ্যাসে অবাক হয়েছিল উদিতা। আগে সকালের চাটা অর্কই বানাতো আর নাশতা উদিতা। যখন সকালের নাশতা খেয়েই বের হয়ে যেত ওরা অর্কের প্রথম মোটর সাইকেলে করে। উদিতাকে অফিসে রোজ নামিয়ে দিত আর তুলে নিত। রোজ সন্ধ্যায় উদিতা দুটো জিনিষের জন্য অপেক্ষা করতো- বাইক থামিয়ে অর্কের হাসি আর একটি হার্ট চকলেট। সেই সাধারন জীবনটাই অসাধারন ছিল যেন।