স্বাধীনতার ক্ষুধা
স্বাধীনতার ক্ষুধা


পাড়ার মোড়ে প্রতিবারের মত এবারও গমগমিয়ে লতা মঙ্গেশকরের মন কাঁদানো গান বাজছিল। ক্লাবের ছেলেরা ব্যস্ত যে যার মত সাজাতে। আজ অনেক দিন পর সাউন্ড বক্স ভাড়া করে এনেছে তারা। যা পরিস্থিতি! রাতে মাংস ভাত হবে। খাসি টা বেশ কচি পাওয়া গেছে। সন্তু রান্না করবে প্রত্যেক বারের মত। আর একটু 'জল' তো চাই। 'জল' ছাড়া ঠিক জমে না।
"এই রাতের দিকে একটু ডিজে টা চালিয়ে দিস তো।"
"হ্যাঁ দেবো।"
"গান গুলো শুনলে বেশ একটা ইয়ে ইয়ে ভাব হয়।"
"মানে?"
"বেশ গর্ব হয়। ভারতীয় বলে কথা!"
"ওহ্!"
তাস খেলতে আবার মশগুল হয়ে যায় ওরা।
"দাদা। ও দাদা।"
ওরা ঘুরে তাকায়। একজন বয়স্ক রিক্সাওয়ালা।
"কি চাই কাকা?"
"একটু ভাত হবে গো? ভাত?"
"নাহ্। ও সব হবে না। দেখছ না স্বাধীনতা দিবস পালন হচ্ছে? সবাই ব্যস্ত।"
রিক্সাওয়ালা টি ওপরের দিকে তাকায়। পত্ পত্ করে সিল্কের নতুন পতাকাটি বেশ উড়ছে।
"কি দেখছ? বল 'জয় হিন্দ'!"
"বলছি। বললে, ভাত দেবে?"
"যাঃ বাবা। আগেই তো বললাম। নেই।"
বেচারা আর কি করে।
মাথার ঘাম আর চোখের জল মুছে বললো,
"জয় হিন্দ!"
#freeIndia