প্রতীক্ষা
প্রতীক্ষা
কয়েকদিন ধরে হাসপাতাল আর ব্যাঙ্কে দৌড়াদৌড়ি করতে হচ্ছে সৌরভ ও তৃপ্তি কে।কারণ তাদের বছর দশকের মেয়ে তৃণা কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। ডাক্তার জানিয়ে দিয়েছেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অপারেশন করতে হবে না হলে তৃণার প্রাণ সংশয় আছে।অপারেশন করতে কমপক্ষে তিন থেকে চার লাখ টাকা খরচ হবে। ডাক্তারের কথা শুনে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে ওদের। সৌরভ একটা বেসরকারি সংস্থায় কাজ করে। যেটুকু রোজগার করে তাতে কোনো রকমে টেনেটুনে সংসার চলে যায়। কিন্তু তৃণার অপারেশনের জন্য তাড়াতাড়ি এতোগুলো টাকা কোথা থেকে কী ভাবে জোগাড় করবে তা ভেবে পায় না সৌরভ। অফিস থেকে এতো গুলো টাকা লোন পাবে না।তার পরিচিত কেউ নেই যে তাকে এতো গুলো টাকা ধার দিতে পারে। অবশেষে এক বন্ধুর সহায়তায় একটা ব্যাঙ্ক থেকে চড়া সুদে লোনের ব্যবস্থা করে সে । কিন্তু ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছে এতো গুলো টাকার লোন সানসেন হতে কমপক্ষে সাতদিন সময় লাগবেই।সৌরভ ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের পায়ে পড়ে কান্নাকাটি শুরু করে জানায় তার হাতে অতো সময় নেই।সৌরভের পরিস্থিতি বিচার করে ম্যানেজার জানালেন তিনি আপ্রাণ চেষ্টা করবেন কিন্তু কমপক্ষে দু'দিন তো অপেক্ষা করতেই হবে।ম্যানেজারের কথায় আশ্বস্ত হয়ে সৌরভ হাসপাতালে তৃপ্তি ও তৃণার কাছে ফিরে যায়ফ।সুদিনে সময় খুব তাড়াতাড়ি কেটে যায় কিন্তু দুর্দিনে সময় যেন কাটতেই চায়না।এই দুটো দিনের অপেক্ষা ওদের গোটা পরিবারের কাছে দু'শো বছরের অপেক্ষা বলে মনে হয়।কারণ তারা জানেনা ভগবান তাদের দুটো দিন সময় দেবেন কিনা।