পারকীয়া
পারকীয়া
প্রেম করে বিয়ে করলেও বিয়ের দু'বছরের মধ্যেই নীলের চোখে অসহ্য হয়ে গেছে তৃণা। কয়েকদিন থেকেই নীলের আচরণে বদল লক্ষ করে তৃণার মনে সন্দেহ হয়। সন্দেহ দূর করতে নীল বাথরুম গেলে ওর মোবাইলটা নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ চেক করতেই তৃণা বোঝে ওর সন্দেহ অমূলক ছিল না। নীল বাথরুম থেকে বের হতেই তৃণা জিজ্ঞাসা করল "স্বপ্নাটা কে?আর ওই মেসেজ গুলোর মানে কী?" তৃণার কথা শুনে নির্বিকার ভাবে নীল বলল "মেসেজ পড়ে সবই তো বুঝে গেছ। আবার নতুন করে আমাকে জিজ্ঞাসা করা কেন?যেমন আছো থাকো।বেশি বাড়াবাড়ি করলে তোমার কাকার ঘরে বসিয়ে দিয়ে আসব।আর জানানো না পরকীয়া এখন আইনসিদ্ধ "-বলে হা হা করে হেসে উঠল। ছোটো বয়সেই বাবা-মাকে হারিয়ে কাকার ঘাড়ে বোঝা হয়ে বসা তৃণা আর কিছু বলে না।
একাকীত্ব কাটাতে তৃণা ফেসবুক করা শুরু করে।একদিন ফ্রেন্ড খুঁজতে গিয়ে সে পেয়ে যায় অরূপ কে, যে কলেজে পড়ার সময় ওকে প্রেম নিবেদন করেছিল। তারপর শুরু হয় অবিবাহিত অরূপের সঙ্গে চ্যাটিং,ফোন করা,দেখা করা। একদিন ওদের দু'জনকে হাত ধরাধরি করে রাস্তায় একসঙ্গে ঘুরতে দেখে নীল অফিস থেকে রাত্রে বাড়ি ফিরে মেজাজের সঙ্গে ছেলেটার পরিচয় জানতে চাইলে তৃণা নির্ভয়ে সত্যিটা জানিয়ে দেয়।তৃণার কথা শুনে নীল কোমর থেকে বেল্ট খুলে মারতে গেল বেল্টটা হাত দিয়ে আটকে নিয়ে অত্যন্ত উগ্র কন্ঠে তৃণা বলল " তুমি ভুলে গেছো পরকীয়া এখন আইনসিদ্ধ।আর আমার গায়ে হাত দিও না,কারণ যে ছেলেটাকে আমার সাথে দেখেছ সে এখানকার থানার বড়োবাবু।"ধরা গলায় তৃণা আরও বলে "আমাদের ভালোবাসার সম্পর্ক ভুলে আইনসিদ্ধ বলে যে কাজ তুমি করতে পারো তা আমি করলেই দোষ? তোমার আইনসিদ্ধ পরকীয়া দুটো সংসার ভেঙে চুরমার করে দিলো।" কথা গুলো শুনে নীল বোবার মতো তৃণার দিকে তাকিয়ে থাকে।