Partha Pratim Guha Neogy

Abstract Fantasy Others

3  

Partha Pratim Guha Neogy

Abstract Fantasy Others

প্রতিবাদী ইচ্ছাশক্তি

প্রতিবাদী ইচ্ছাশক্তি

7 mins
189


সেদিনের সন্ধ্যেটা একটু অন্যরকম ছিল, অন্যান্য দিনগুলোর মত নয়। নিষেধ জারি হয়েছে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফেরার উপর, এটা আজ রাত বারোটার থেকে কার্যকরী হবে।

যারা অনেক রাত করে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফেরে, তারা সেদিন তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে আসছিল। যারা রাজপথে গাড়ি ছাড়া যাতায়াত করে না, তারা বেজায় খুশি এই নিষেধাজ্ঞায়। রাস্তায় ভিড় কমবে, ট্র্যাফিক কমবে… হু-উ-উ-শ করে উড়ে চলে যেতে পারবে অভিজাত জীবন। গাড়ির ডিলার’রা আহ্লাদিত। অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রি মুখ থুবড়ে পড়েছিল… এবার অন্তত চাকায় গণেশ গড়াবে।


কালবৈশাখীর কোনো পূর্বাভাস হয় না। “আজ রাত বারোটা থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি”। সন্ধ্যা থেকেই পোস্টারে পোস্টারে দেওয়াল ছয়লাপ। অটো’তে, রিক্সা’তে লাগাতার ঘোষণা। এফ-এম চ্যানেল, টিভি’র সব কটি নিউজ চ্যানেলে মুহুর্মুহু ব্রেকিং নিউজ: “শহরের সমস্ত সুনাগরিকদের উদ্দেশ্যে সতর্কবার্তা: “আজ রাত বারোটা থেকে রাজপথে পায়ে হেঁটে যাতায়াত নিষিদ্ধ।”

চমকে উঠল অফিস ফেরৎ লোকাল ট্ট্রেনের যাত্রীরা। আলোচনার বিষয়বস্তু কেবল একটাই— “পথচারীদের জন্য রাজপথ নিষিদ্ধ!” যারা ভিড় বাসে গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে একে অপরকে কটুক্তি করছিল, বিস্ময়ে চোখ বড়ো বড়ো করে তারাই এবার তুঘলকি নিষেধাজ্ঞার বাপবাপান্ত করতে করতে একে অপরের পরিচিত হয়ে উঠল। কথায় কথায় পাক খেয়ে যায় সম্পর্ক— সাধারণের সমস্যা, সাধারণ’কেই একত্র করে তোলে। 

যারা অনেক রাত করে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফেরে, তারা সেদিন তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে আসছিল। যারা রাজপথে গাড়ি ছাড়া যাতায়াত করে না, তারা বেজায় খুশি এই নিষেধাজ্ঞায়। রাস্তায় ভিড় কমবে, ট্র্যাফিক কমবে… হু-উ-উ-শ করে উড়ে চলে যেতে পারবে অভিজাত জীবন। গাড়ির ডিলার’রা আহ্লাদিত। অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রি মুখ থুবড়ে পড়েছিল… এবার অন্তত চাকায় গণেশ গড়াবে। এ যেন একদল সংখ্যালঘু মানুষের দ্বারা সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের নাগরিক অধিকার ছিনিয়ে নেবার এক স্বৈরতন্ত্রী চক্রান্ত।

শিফটিং ডিউটি শেষে, বালিগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে দুই বন্ধু হেঁটেই বাড়ি ফেরে প্রতি রাতে। অমিত পাল আর দীপক দত্ত । পায়ে হেঁটে ওরা পাঁচ কিলোমিটার দূরে আনন্দপুরের রেল কোয়ার্টারে ফেরে। অমিত সাঁতারের জাতীয় চ্যাম্পিয়ন। সেই সুবাদেই রেলের চাকরি। বিগত তিন বছর ওরা দুই বন্ধু এভাবেই বাড়ি ফেরে। প্রথম প্রথম দীপকের অতটা ইচ্ছে ছিল না। এখন নেশা হয়ে গেছে। প্রতিরাতে ‘কার্ডিও’টা সেরে ফেলা যায়। অমিত’ই দেখিয়ে দিয়েছে, ওই পাঁচ কিলোমিটার চল্লিশ মিনিটে শেষ করতে পারলে, দেড়শো ক্যালরি ঘাম ঝরে। ঘরে ফিরে গিয়ে স্নান। ‘নিখরচায় শরীরকে ফিট রাখার, এর চাইতে সহজ পদ্ধতি আর কিছু হতে পারে না’— এই বেদ বাক্যটা শিখিয়েছিল অমিত । দীপকও আজকাল মেদ ঝরা ঋজু যুবক। তবে আজকের রাতটা অন্যরকম। হঠাৎ এমন হঠকারি সিদ্ধান্তে দীপক বেজায় সন্দিহান; রাজনীতির কুমতলবের কথাই বলতে থাকে অমিতকে — “সকলেই যাতে গাড়িওয়ালা শ্রেনীতে উন্নীত হয়, তার জন্যই এই ব্যবস্থা।” এতটুকু বলে অমিতের দিকে ফেরে দীপক । মিতভাষী অমিত ততটাই নির্বিকার। সেদিকে ভ্রুক্ষেপ না-করেই বলে যায় দীপক — “ যাদের গাড়ি নেই, অথবা গাড়ি কেনার কোনোভাবেই সামর্থ্য নেই, তারা এলাকা ছেড়ে চলে যাবে, অথবা বাড়ি থেকে না-বেরোতে পেরে অভুক্ত অবস্থায় মারা যাবে। তুই বোঝার চেষ্টা কর অমিত …. এই যে….”

ক্যাকফনিতে মিশে গেল দীপনের ভিতরে জমে থাকা ক্ষোভ, রাগ আর দুঃখ। কমপ্লেক্সে পৌঁছে মৃদু হেসে অমিত চারতলার লিফটের বোতাম টিপে বিদায় জানাল দীপনকে:

— “সি উ টুমরো.... গুড নাইট!”


পরের দিন রাস্তা একেবারে শুনশান। হাতে গোনা কিছু গাড়ি হু-উ-শ গতিতে যেন ছিটকে চলেছে। ফুটপাত জনশূন্য। ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, স্টার ক্যাটেগরির শপিং মল, মাল্টিপ্লেক্স, আর সমস্ত গাড়ির ডিলারশিপগুলো খোলা রয়েছে। তবে কোনো নতুন গাড়ি রাস্তায় দেখা যায়নি। আগে যেগুলি চলত, সেগুলিই ধাবমান। তবে নতুন গাড়ির শোরুমে কিছু পুরনো গাড়ি জমা পড়েছে বটে।

তিনদিনের মাথায় দু’-একজন লোক প্রায় জোর করেই হেঁটে যাতায়াতের চেষ্টা করল। যারা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করবে ভাবছিল, পুলিশের বেদম প্রহার আর গ্রেপ্তার দেখে, তারাও ভয়ে সিঁটিয়ে গেল। এদিকে যাদের গাড়ি নেই, তাদের প্রত্যেকেরই এবার খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে। জমানো খাবার যা ছিল, তা প্রায় তলানিতে। কোনো কোনো পরিবার আধপেটা থাকা শুরু করেছে। তাদের এবার বাড়ি থেকে বেরোতেই হবে। কিন্তু উপায়?

পঞ্চম দিনে ঘটল সে-ঘটনা! রীতিমতো হাঁ করে দাঁড়িয়ে গেল অমিতের কমপ্লেক্সের আবাসিকরা। ঘোষণা পরবর্তী অমিতই প্রথম ফ্ল্যাট থেকে রাস্তায় নেমে এল। কিন্তু…. পায়ে হেঁটে নয়। কংক্রিটের ফুটপাথের উপরে সাঁতার কেটে কেটে এগোতে থাকল অনীশ। ফুটপাতের ওপর উপুর হয়ে শুয়ে ডান-হাত বাঁ-পা টানটান ছড়িয়ে ঘষ্টে ঘষ্টে একটুখানি এগোয়, তারপর আবার বাঁ-হাত ডান-পা বাড়িয়ে একইভাবে ঘষে -ঘষে এগোয় সামান্য। শামুকের গতিতে সামনে এগোতে থাকল অমিত । হাত পা রক্তাক্ত.… চোখে-মুখে কষ্টের ছাপ স্পষ্ট.… অথচ চোয়াল শক্ত। তবুও এগিয়ে চলেছে অমিত।


ওদিকে পুলিশও চ্যাম্পিয়ন সাঁতারুকে দেখতে থাকে। প্রথমে অতটা ঠাওর করতে পারেনি আইনের রক্ষকরা। ভেবেছিল, কোনো আইন অমান্যকারীকে বেধরক পেটানোর পরে, সে বুঝি রাস্তায় পড়ে ছটফট করছে। হয়তো এক্ষুনি মারা যাবে। সরকারের জয় হবে। কারণ, আইনভঙ্গকারী হিসেবে, কারুর এখনও অবধি মৃত্যুর কোনো খবর নেই সরকারি খাতায়। এটাই প্রথম হতে পারত। কিন্তু…. নাহ্!

গোটা প্রশাসনে ত্রাহি ত্রাহি রব। কমিশনার অবধি ফোন গেল। কমিশনার মুখ্যমন্ত্রীকে ঘটনাটা সবিস্তারে জানালেন। মুখ্যমন্ত্রী মুখ্য সচিবের পরামর্শ চাইলেন।

— “না! বেআইনি নয়, ও হাঁটছে না। অ্যাকশন নেওয়া যাবে না”, জানালেন মুখ্য সচিব।


সপ্তম দিন একটু সুস্থ বোধ করে অমিত। দীপককে ফোনে ধরতেই, দীপক তো রীতিমতো উত্তেজিত!— “গুরু ক্কী করেচো গুরু! তুমি শালা গুরুদেব মাইরি! ওই জন্য সেদিন তুমি কতা বলনি হাঁটতে হাঁটতে; তাই না?”

  অমিত একইরকম নির্বিকার, স্তিতধী।

— “তোর বলা শেষ হলে আমি বলবো?”

— “হ্যাঁ হ্যাঁ… বল বল বল বল।”

ডান হাত থেকে বাঁ-হাতে ফোনটা কানে চেপে ধরল অধৈর্য্য দীপক ।

— “শোন, আশেপাশের যতজন মানুষ আছে, আজ রাতের অন্ধকারে আমার ফ্ল্যাটের ছাদে নিয়ে আসবি।”

দীপকের চোখ গোল হয়ে কপাল ঠেকে প্রায়:

  — “সে কি রে, কেউ যদি দেখে ফেলে!”

  অমিত দৃঢ়, অনড়।

  — “না কেউ দেখবে না। আজ রাত ন’টা। সরকারি নির্দেশ। কারুর ঘরে আলো জ্বলবে না। এটাই মাহেন্দ্রক্ষণ। কাজে লাগাতে হবে দীপক । তুই কিন্তু ঘেঁটে ফেলিস না।”

  — “আচ্ছা, আমি সবাইকে খবর করছি। কিন্তু কী করবি ছাদে? কোনো পার্টি-সার্টি কিছু….”

  — “হ্যাঁ রে শালা!”

  কথা আর বাড়াল না অমিত। “সী-ইউ” বলে ফোন কেটে দিল। 


রাত ন’টা। আঁধারই তো দেশের প্রতীক। তবে যেখানে আলো থাকে, প্রাণ সেখানে পৌঁছে যায় অবচেতনে প্রতিবর্ত ক্রিয়ায়। ধীরে ধীরে চল্লিশজন হাজির হয়ে গেল অমিতের ছাদে। খুব বেশি জোরে কথা বলা যাবে না। এমনিতেই কিছু জানালা গলে আসা উৎসাহী মুখ, দশ-বারোজনকে পায়ে হেঁটে আসতে দেখেছে। প্রথমেই বলে নেয় অনীশ— “মরে যেতে হবে আজ, কাল বা পরশু। লড়াই করে মরতে চান, না-কি ভয়ে সিঁটিয়ে পচে গলে মরতে চান? কোনটা?” প্রায় সবাই সমস্বরে বলে “মরতে হলে লড়ে মরব; এভাবে নয়।”

অনীশ একজন প্রতিবেশীকে তার সামনে দাঁড় করাল। তাকে মডেল বানিয়ে, বাকিদের উদ্দেশ্য সে বলল: “বেশ। শুনুন তাহলে বন্ধুগণ। ব্যাপারটা অবশ্যই প্রচণ্ড কষ্টসাধ্য। প্রথমেই চাই, আর্মি-সিপাহীদের মতো মানসিক প্রস্তুতি। আপনাকে মনে মনে ভেবে নিতে হবে ওই শক্ত ঢালাই ফুটপাথটা আসলে জল। এই অলীক বিষয়টা যখন মনের মধ্যে পুরোপুরি গেঁথে ফেলতে পারবেন, তখন প্রথমে ডান-পা, তারপর বাম হাতটা সামনে বাড়াতে হবে। এবার বাঁ-পা আর ডান হাত। হাতের চেটো আর হাঁটুতে একসাথে সমান ভর প্রদান করে, এই এভাবেই এগিয়ে যেতে হবে।”

— “ব্র্যাভো বন্ধু! ব্র্যাভো!” অমিত’কে জড়িয়ে ধরে দীপক ।

সবাই ফিরে যাবার মুহূর্তে, অমিত ওর মুঠিটা শক্ত করে, ঠান্ডা অথচ গম্ভীর স্বরে শেষবারের মতো পিছু ফিরে চলা জনতাকে ডাক দিল:

  — “দাঁড়ান….”

  সবাই একসাথে পিছনে অমিতের দিকে ঘুরে দাঁড়াল। কী অদ্ভুত, সবার মুঠিই কেমন যেন অজান্তেই শক্ত হয়ে গুটিয়ে আছে! অমিত চোয়াল শক্ত করল:

— “মনে রাখবেন, আপনারা জলের সর্বশেষ তলানিতে পৌঁছে গেছেন। ডুবে যাবার আর ভয় নেই আপনাদের। কী পারবেন তো?”

  চল্লিশটা মুঠি আকাশে তাক করা যেন বেয়নেট। সমস্বরে বলে উঠল: “হ্যাঁ সাথী । পারব। উই শ্যাল ওভার কাম….”

  — “শেষ অনুরোধ আমার। যা শেখালাম, তা এবার আপনাদের পরিচিত অপর পাঁচজনকে শেখাবেন। তারাও আবার আরও পাঁচজনকে ছড়িয়ে দেবে এই শিক্ষা। বাঁচতে হলে, এই কৌশলী-বিদ্যা ছড়িয়ে দিন সাথী।”

প্রত্যেকের চোয়াল শক্ত। লক্ষ্য স্থির অমিতের প্রতি। সমস্বরে সবাই বলে উঠল: “ইয়েস সংগ্রামী সাথী । অবশ্যই করব।”

ধীরে ধীরে ভিড় মিলিয়ে গেল অন্ধকারে। একলা দীপক ছাদের উপর রেলিং-এ ঠেস দিয়ে বসে। খানিক বাদে নীরবতা ভেঙে হাসতে হাসতে বলল: “বুঝে গেছি বন্ধু; কিছু দায়িত্ব আমাকেও তো দে!”

দূরে রেলিংটায় ভর দিয়ে উত্তর দিগন্তে তাকিয়ে অমিত। ধ্রুবতারা খুঁজছিল হয়তো। এই প্রথম অস্ফুটে হাসল সে। নিয়নের আলোগুলিও জ্বলে উঠল ঠিক তখনই।

অষ্টম দিন। গোটা ফুটপাথ জুড়ে একশো মানুষ সাঁতরে চলেছে। প্রশাসন কিংকর্তব্যবিমূঢ়। ধীরে হলেও এগিয়ে চলেছে। দোকান পাটও খুলছে ধীরে ধীরে। তবে সবাই বুকের উপরেই ভর দিয়ে আছে।

নবম দিন সাঁতারুদের ঢল নামল রাজপথে। আজ পাঁচশত লোক। তীব্র যানজট। যারা গাড়ি বের করেছিল, বিরক্তি উগরে দিচ্ছে সরকারের উপর। ঘেমে-নেয়ে একসা গাড়ির যাত্রীরা। বাজার, অফিস সবই আজ খোলা। কিন্তু গাড়ি বিক্রী শূন্য। উচ্চপর্যায়ের মিটিং বসেছে ঘন ঘন। এভাবে তো আর চলতে দেওয়া যায় না! ওই হাতে গোনা গাড়িওয়ালাদের কথা আগে ভাবা দরকার। মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত সেদিন রাত ন’টাতেই ব্রেকিং নিউজ হয়ে যায়:

“আগামীকাল সকাল থেকে, রাজপথে হেঁটে চলা যাবে আগের মতোই।”


অমিত আজ রাতে বাড়ি ফিরছিল সাঁতার কেটেই। অন্যদিনের তুলনায় তার আজ গতিবেগও যেন বেশি। ক্রমশ ভীষণ সহজ হয়ে উঠেছে কংক্রিটে সাঁতার কাটা। হঠাৎ তার ডান হাতটা সামনে বাড়িয়ে দিতেই, একটা শীতল নরম স্পর্শ। চমকে ওঠে অমিত। ঢালাই ফুটপাতের সে এদিক সেদিক হাতটা ঘোরাতে থাকে। এখন আরও দ্রুত হাত ঘোরাচ্ছে অমিত! ক্রমশ ভিজে যাচ্ছে ও…. ভিজে যাচ্ছে অমিতের ঘড়ি, আস্তিন , শার্ট— সব, স-অ-ব কিছু। হাতের চেটোয় কেমন যেন একটা পিচ্ছিল ঠান্ডা বস্তু ঢুকে পড়ল। মুঠোয় চেপে ধরে হাঁ হয়ে গেল অনীশ। এ-কী, এ-তো পাঁকাল মাছ! অমিত আর পাঁকাল মাছ…. অবাক হয়ে যেন দু’জন দু’জনের দিকে তাকিয়ে আছে। হঠাৎ প্রচণ্ড আওয়াজে সম্বিত ফিরে পেল অমিত। চমকে তাকায় রাজপথে। একটা সেভেন সিরিজের বি-এম-ডব্লু, ধীরে ধীরে ডুবে যাচ্ছে…. মুখ, শরীর সব যেন ঢুকে যাচ্ছে রাজপথে।

রাজপথ আজ থেকে সাগর । বিস্তৃত মানুষের সম্মিলিত ইচ্ছা শক্তির সাগর — নাম, “প্রতিবাদী সাগর ”। রাত নামছে…. ঘোলাটে জলে স্নান সারছে সাম্যবাদী চাঁদ। 


Rate this content
Log in

Similar bengali story from Abstract